জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ নীলফামারী কিশোরগঞ্জের থাই জুয়াড়িকে আটকের ঘটনায় ছলিমের বাজার নামক একটি গ্রাম পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। রবিউল ইসলাম নামে এক স্কুল শিক্ষক পুলিশের হাতকড়াসহ পলিয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ ঘটনায় ডিবি পুলিশ অজ্ঞাতনামাসহ ১১৮ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করে।এলাকাবাসি জানায়, সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর তানজিমুল নামে এক থাই জুয়ড়িকে আটক করে নিয়ে যায় নীলফামারী ডিবি পুলিশ। এ সময় ওই গ্রামের মরহুম আব্দুর রহিমের ছেলে ও ছলিমের বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম পুলিশের সাথে তর্কে জড়ায়। পরে গভীর রাতে থানা ও ডিবি পুলিশ শিক্ষক রবিউলকে তার বাড়ি থেকে আটক করে। এ সময় তার পরিবারের লোকজনকে মারপিট করায় তাদের চিৎকারে এলাকাবাসি জড়ো হয়। একপর্যায়ে পুলিশের সাথে স্থানীয়দের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় হাতকড়াসহ ওই শিক্ষক পালিয়ে যান। এতে ২ পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হন।
গতকাল রাত ৯টায় ছলিমের বাজার গ্রামে গিয়ে দেখা যায় সুনশান নিরবতা কোনো বাড়িতে আলো নেই। একটি বাড়িতে একজন নারীর কণ্ঠ শোনা গেলেও আতঙ্কে আছেন তিনি।
তার সাথে কথা বলতে গেলে তিনি শুধু বলেন, আমার স্বামী বাইরে গেছে বলে কথা শেষ করেন। বাজার পাহাড়াদার ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ মোকছেদ আলী জানায়, পুলিশ এসে আমার মোবাইল ফোনটা নিয়ে নেয়। এর পর রবিউল মাস্টারকে ধরতে তার বাড়িতে অভিযান চালায়। পুলিশের ভয়ে এলাকা এখন পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া গতকাল দুপুরে ওই গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি বাড়িতে তালা ঝুলছে ৷ আশে পাশে ২/১ জন মহিলার দেখা মিললেও তারা সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন ৷
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পলাশ চন্দ্র মণ্ডলের সাথে কথা বললে তিনি মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। হাতকড়া নিয়ে আসামি পালানোর বিষয়ে ডিবি পুলিশ বলতে পারবে বলে তিনি জানান। নীলফামারী ডিবি পুলিশের ওসির সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।