আসাদ হোসেন রিফাত, লালমনিরহাটঃ লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ২নং মদাতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদের গত বুধবার নিজ কার্যালয়ে এক চায়ের দোকানি কর্তিক হামলার শিকার হয়।
এর প্রেক্ষিতে ৩০অক্টোবর শুক্রবার, বিকেলে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মদাতী ইউনিয়নের বিপুল সংখ্যক মানুষ ছুটে আসে চেয়ারম্যানকে দেখতে।পরে সেখান থেকে অসুস্থ অবস্থান নিজ ইউনিয়ন পরিষদের উদ্দেশ্য রওনা দেন তিনি। সাথে দেখতে আসা অসংখ্য মানুষ গাড়ি বহরে রওনা দেয় চেয়ারম্যানের সাথে।
পরে সন্ধ্যায় মদাতী ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে শতাধীক মানুষ দেখতে আসে চেয়ারম্যানকে। মিলিত হল এক জন সম্মেলনে।
উক্ত বিষয়ের উপর সার্বিক আলোচনা অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, কমিউনিটি পুলিশিং লালমনিরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান,মদাতী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া জুয়েল।
চেয়ারম্যান বলেন,আপনারা উত্তেজিত হবেন না ধৈর্য ধারণ করুন। যে আমার উপর হামলা করেছে তার বিচার আইন করবে।আপনাদের উদ্দেশ্য দুটি কথা বলার জন্য আমি হাসপাতাল থেকে রিলিজ না নিয়ে ফিরেছি। আপনারা ক্ষিপ্ত হবেন না।আপনারা শান্ত থাকুন,আমি সুস্থ হয়ে ফিরে আসি। অযথা আমার প্রতিপক্ষর উপর হাত তুলবেন না।
উল্লেখ্য, মদাতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেরকে হামলা কারী নেছার উদ্দিন (৪৫) নামের এক চায়ের দোকানদার। এ ঘটনায় ওই চায়ের দোকানদারকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে ওই ইউনিয়ন পরিষদে একটি সালিশে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারী চায়ের দোকানদার নেছার উদ্দিন ওই ইউনিয়নের বাবুডাঙ্গা এলাকার ছকমাল হোসেনের পুত্র।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে নেছার উদ্দিনের সাথে তার ভাই ইয়াকুব আলীর জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। ওই ঘটনায় ইয়াকুব আলী বাদী হয়ে মদাতী ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দেন। পরে ওই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের চায়ের দোকানদার নেছার উদ্দিনের জমি সংক্রান্ত একটি সালিশে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। গতকাল মঙ্গলবার ওই টাকা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে নেছারের দেওয়ার কথা থাকলেও সেটি দেননি। আজ বুধবার অপর একটি সালিশ চালাকালীন সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নেছার উদ্দিন চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেরকে কিল-ঘুষি মারেন। এতে চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেরের নাক ফেটে রক্ত বের হয়।
এসময় ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্যরা আহত অবস্থায় চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে ইউএনও রবিউল হাসানসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।