জি, এম স্বপ্না, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে ঘরে বসে অনলাইনে পণ্য কেনাকাটা বা ই-কমার্স ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠার পর গোটা খাতটি এখন ভুগছে আস্থার সংকটে। ইতিমধ্যে অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের শত শত কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন অনেক প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এমন পরিস্থিতিতে গ্রাহকরা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলাতেও ই-কমার্স সাইটে প্রতারিত হওয়া ভুক্তভোগির অভাব নেই। সবাই এখন হতাশায় দিন কাটাচ্ছে। ই-কমার্স সাইটের মধ্যে সম্প্রতি খুব অল্প সময়ে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়া ইভ্যালি, এসপিসি, রিং আইডির ভুক্তভোগির সংখ্যাই বেশি। এ সকল ভুক্তভোগিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রথম দিকে অস্বাভাবিক’ সব অফার এবং সঠিকভাবে গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহ ও মুনাফা দিয়ে আসছিল প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু হঠাৎ করেই প্রতিশ্রুতি মোতাবেক তারা সময়মত পণ্য সরবরাহ দিচ্ছিল না।
তবে গ্রাহকরা এখনো আশা করছেন প্রতিষ্ঠানগুলো আইনি জটিলতা কাটিয়ে আবার ফিরে আসবে।তবে যারা পালিয়ে গিয়েছে তারা হয়তো আর ফিরবে না। উপজেলার রিং আইডির ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম, ওমর ফারুক সহ অনেকে জানান, মহামারী করোনার মধ্যে বেকার হয়ে পড়েছিলাম, এরই মধ্যে আমার জন্য হঠাৎ আশীর্বাদস্বরূপ রিং আইডি ধরা দেয়। নতুনভাবে স্বপ্ন দেখছিলাম, আমার মত হাজারো বেকার যুবক স্বপ্ন দেখছিলেন রিং আইডিকে ঘিরে। নিয়মিতই চলছিল সবকিছু, কিন্তু হঠাৎ করেই বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান উপর অভিযোগ ওঠে সেই পরিপ্রেক্ষিতে রিং আইডির উপরে নজর পড়ে প্রশাসনের। গ্রেপ্তার করা হয় পরিচালককে এবং রিং আইডি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে রাখা হয়েছে। যার কারণে আমরা বর্তমানে মুনাফা পাচ্ছিনা আশা করছি সরকার সঠিকভাবে তদন্ত করে রিং আইডির পরিচালককে মুক্তি দিবেন এবং ব্যাংক হিসাব খুলে দেবেন। না হলে আমাদের স্বপ্নগুলো অধরাই রয়ে যাবে।
ইতিমধ্যে ইভ্যালি আইনি জটিলতা কাটিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে ফিরে আসার চেষ্টা করছে যার কারণে ইভ্যালির ভুক্তভোগীরা কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন। তবে এসপিসির ভুক্তভোগীদের হতাশার শেষ নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ভুক্তভোগী জানান, অনেক বেকার যুবক, শিক্ষার্থী, রিকশাচালক সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ ইনভেস্ট করেছিলেন “এসপিসি’তে লোভনীয় অফারের ফাঁদে পা দিয়ে তারা এখন অসহায় হয়ে পড়েছেন। তারা দাবি করেন সঠিক আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের ইনভেস্ট করা টাকা যেন ফিরে পায় অথবা প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে আগের অবস্থানে ফিরে আসুক।