কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ গ্রীষ্ম-বর্ষা ও শরৎ ঋতু জুড়ে ওষ্ঠাগত গরম যেন সে খেলায় খেলছিল।এতে ভোগীয়ে তুলেছিল প্রাণপ্রকৃতিকে। এ হাঁসফাঁস প্রকৃতি থেকে স্বস্তি মেলাতে শরৎ বিদায়ে হেমন্তের কার্তিকে স্নিগ্ধ শিশির ভেজা ভোর, ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো সকাল আর হিম শীতল বাতাস জানান দিচ্ছে আগাম শীতের আগমনি বার্তা। বলা হচ্ছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের প্রকৃতিতে আগে ভাগে নেমে পড়া শীতের কথা।সরেজমিনে দেখা যায়,বিগত কয়েক দিন ধরে ভোরের আকাশে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে মাঠ প্রন্তর ও পথ ঘাট।
ভোরের আকাশে রক্তরাঙা আলো ফুটতেই দূর্বা ঘাস,মাকড়সার জালে আটকে থাকা স্নিগ্ধ শিশির বিন্দুগুলোও যেন মুক্তার দানার মতো আলো ছড়াচ্ছে। প্রকৃতির কারিগর মাকড়সা যেন জাল বুনেছে, তাতে শিশিরবিন্দু জমে যেন কোন এক সুন্দরীর খোঁপায় এক অসাধারণ অলংকার গড়ে তুলেছে। পাশাপাশি সবুজ ধানের পাতাগুলো ভিজে উঠছে স্নিগ্ধ ঘনিভূত শিশিরে। সূর্যের বর্ণচ্ছটায় শীষের ডগায় নুয়ে পড়া কাঁচের মত শিশির বিন্দুগুলো যেন প্রতিবিম্ব হয়ে উঠছে সবুজ প্রকৃতিতে। আগাম শীতের মায়াবী প্রকৃতির এমন অঙ্গ এরই মধ্যে যেন বিমুগ্ধ করতে শুরু করেছে সবাইকে। অপরদিকে সকালের ঘন কুয়াশার ধুর্মজাল আর উত্তর থেকে ধেয়ে আসা শিরশিরি বাতাস সমস্ত শরীর জুড়ে শিহরণ তুলছে।
সকালের নরম রোদের আবেশ। বিকেল ৫টা গড়ালেই পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়ছে সূর্য।গোধূলি লগ্নের রাঙা সূর্য সবাইকে রোমাঞ্চিত করে জলদি নামিয়ে দিচ্ছে সন্ধ্যা।শেষ রাতের হিম শীতল বাতাস কাঁটা দিচ্ছে শরীরে। এসময় গায়ে চাপাতে হচ্ছে হালকা কাঁথা-কম্বল। সব মিলে শরৎ বিদায়ে হেমন্তের কার্তিকের শুরু থেকেই শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে। সরকারি শহীদ আকবর আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক ড.পরিতোষ চন্দ্র বলেন,বর্তমান হেমন্তকাল চলছে আবহওয়া অনেকটা নাতিশিতোষ্ণ ফলে ঋতুর এমন অবস্থায় দিনে গরম রাতে শীত অনুভূত হচ্ছে। এই আবহাওয়ায় কারনে প্রায় বাড়িতে শ্বর্দীজ্বরসহ শিশু বাচ্চাদের নানা ধরনের রোগ বালাই হচ্ছে। এটি শীতের আমেজ নয় বলে পুরোদমে শীত আসছে সেই বার্তা জানিয়ে দিচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন, এ জনপদে এবার আগে ভাগে শীতের আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছে।দিন ও রাতের তাপমাত্রার পারদও কমছে।এতে সকাল ও মধ্যে রাতে একটু ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব অনুভূত হচ্ছে।