কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় সিআর ১৫৯/২২ মামলা থেকে বাঁচতে বাদী মামলা তুলে না নেয়ায় বাদীর উপর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে বিউটি বেগমসহ অন্যান্য আসামীর বিরুদ্ধে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত নীলফামারী দন্ডবিধি ৪৪৭/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৫০৭/৫০৬(২)১১৪ ধারার অভিযোগ প্রমানিত বিচারাধীন সিআর নং-৭৭/২০২৩ মামলা, যাহা ১৫৯/২০২২ নং পিটিশন মামলা হতে বাঁচতে বাদী ইখতিয়ার রহমানের উপর চাপ সৃষ্টি করে মামলাটি তুলে নেয়ার জন্য ।

বাদী ইখতিয়ার রহমান মামলা তুলে না নেয়ায় গত ১৩ জুন/২০২৩ইং তারিখে উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নেন আসামী বখতিয়ার রহমানের ছেলে বদিউজ্জামান(১৯), বখতিয়ার রহমান ও বখতিয়ার রহমানের স্ত্রী বিউটি বেগম (৪৫)।

বাদী ইখতিয়ার রহমান জানান, আসামীগণ তাদের আইনজীবিদের নিকট থেকে মনমতো করে আপোষনামা লিখে আনে বাদীকে স্বাক্ষর করতে বলেন। স্বাক্ষর না করলে তারা বলেন মেরে তোর দাঁত ভেঙ্গে দিয়েছি এবার হত্যা করে লাশ গুম করবো এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর করার হুমকী দেন।

তারই পরিপ্রেক্ষিতে আসামী পক্ষ তাদের বোন ভগ্নিপতিকে স্বাক্ষী করে গত ২২ আগষ্ট/২০২৩ইং তারিখে নীলফামারী বিজ্ঞ আমলী আদালতে পিটিশন মোকদ্দমা ১৪৩/২৩ আনায়ন করেন। উক্ত মিথ্যা মামলায় উল্লেখিত ঘটনার দিন,তারিখ ও সময় ১৫ আগষ্ট/২০২৩ইং দেখানো হয়েছে।

ওই দিন ০১নং ও ০৬ নং আসামী তাদের হারিকেন রোড, গাজীপুরের বাসায় অবস্থান করেন যাহা বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়। আরো প্রমাণ পাওয়া যায় ০১নং আসামী ইয়ানুর রহমান আলহাজ¦ আলাউদ্দিন সরকার মার্কেট, হারিকেন রোড, গাজীপুরে অবস্থিত ভাই ভাই জেনারেল ষ্টোরের মালিক।

মালামাল ক্রয়ের মেমো দেখিয়ে বুঝা যায় তিনি ওই ঘটনার দিন ঢাকায় ছিলেন এবং ০৬নং আসামী ওয়ান আপ সুয়েটার লিমিটেড নামের একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে কাজ করে। এ ব্যাপারে মামলার স্বাক্ষী দুলাল চন্দ্র, মমতা বেগম ও জুয়েল এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে ঘটনার বিয়য়ে তারা কিছুই জানে না এবং অন্যান্য নথিভুক্ত স্বাক্ষীরা বাদীর স্বামী,আপন বোন,ভাগ্নি ও ভগ্নিপতি।

ওই মামলার বাদী বিউটি বেগমের এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে জানা যায় তারা মামলা থেকে বাঁচতে এই মিথ্যা মামলাটি আনায়ন করেছেন। মামলা সংক্রান্ত ব্যাপারে বিউটি বেগমের সাথে ০১৭৪৯০২২১১৫ নম্বরে মোবাইল ফোনে কথা চলতে থাকলে কেন এই মিথ্যা মামলা করেছেন জানতে চাইলে ফোন কেটে দেন এবং একাধিকবার ফোন দেয়া হলে রিসির্ভ করেননি। পরে বাদীর বোন জামাই মামলার স্বাক্ষী ওবায়দুল হক জানান আপনার সাথে বাদী আর কথা বলবে না। আপনার সাথে আমি দেখা করব। এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) সুশান্ত জানান আবহাওয়া ভাল হলে তদন্তে যাওয়া হবে, বিবাদী যদি প্রমানপত্র দেখাতে পারে তা আমলে নেয়া হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে