কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় করা হয়েছে গ্রীস্মকালীন পেয়াজের চাষ। গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজের চাষ সম্প্রসারণে এই মসলা জাতীয় ফসলের চাষে উদ্যোগ নেওয়াা হয়েছে বলে কৃষি অফিস সুত্রে জানাগেছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় কৃষি প্রনোদনা কার্যক্রমের আওতায় দেশে পেঁয়াজ ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং এ ফসল চাষে চাষীদের আগ্রহী করে তোলা এবং পেঁয়াজের চাহিদা মিটিয়ে তা বাহিরে সরবরাহ করাই এর মুল লক্ষ। এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার লোকমান আলমের সাথে সাক্ষাতে কথা হলে তিনি জানায়, পেঁয়াজ ফসলটি হলো মসলা জাতীয় ফসলের মধ্যে অন্যতম তরকারীতে ব্যবহার এটি একটি উপাদান হিসেবে ব্যবহার হয়। মসলা হিসেবে মরিচের পরেই পেঁয়াজের স্থান। সরবরাহজনীত কারনে প্রতি বছর সেপ্টেম্বর হতে নভেম্বর মাস পেঁয়াজের দাম বৃদ্দি পায়। যে কারনে সরকার স্থানীয় চাহিদা পুরনে বিদেশ থেকে কিছু পেঁয়াজ আমদানী করতে হয়। তাই আমদানী নির্ভরতা এরাতে এবং পেয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে মসলা চাষ সম্পুর্ন এটি একটি সরকারি উদ্যোগ। তিনি বলেন,এ উপজেলার জমি গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ চাষের জন্য উপযোগি। শুধুমাত্র আবহাওয়ার কারনে এ পেঁয়াজ চাষ বিঘিœত হচ্ছে। অত্যন্ত ঝুকিপুর্ন আবহাওয়া মাঝেই বর্তমানে পেঁয়াজের চাষ করা হচ্ছে। এ বছর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৭৫ বিঘা জমিতে এই গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ চাষের জন্য ৭৫ জন কৃষক ব্যবস্থা করে তাদেরকে উচ্চ ফলনশীল জাতের প্রয়োজনীয় পরিমান বীজ,সার ও অন্যান্য উপকরন এবং পরিচর্যা বাবদ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তাগণ এবং প্রতিনিয়ত প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ প্রযুক্তিগত পরামর্শ দিচ্ছেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে প্রতি বিঘায় ১ থেকে ১.৫ মেট্রিক টন ফলন হতে পারে। যার বর্তমান বাজার মুল্য চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা। এ ফসল চাষে সমস্ত উপকরন ও পরিচর্যার টাকা সহায়তা করায় পেঁয়াজ চাষীগণ অর্থিকভাবে লাভবান হবে বলে তিনি মনে করেন। কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের পেঁয়াজ চাষী ফজলুল হক বলেন সঠিকভাবে এ ফসল তুলতে পারলে যতেষ্ট লাভবান হবেন এবং কিশোরগঞ্জ উপজেলা ছাড়াও বাহিরের উপজেলায় ঘাটতি পুরনের এখানকার পেঁয়াজ সরবরাহ সম্ভব হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে