ডেস্ক রিপোর্টঃ “সিগারেটের আগুন দিয়া গায়ে ছ্যাঁক দিত, হাত-পা বাইন্ধা পানির ভিতরে ফালাইয়া রাখতো। ঐ অবস্থায় গলা পর্যন্ত ডুবাইয়া পানিতে ফালাইয়া রাখতো, বৃষ্টির পানি নাক দিয়া ঢুকছে, কিছু করতে পারি নাই।”
এভাবে নির্যাতনের ভয়ঙ্কর বর্ণনা দিলেন মালয়েশিয়া থেকে ফেরত বাংলাদেশী শ্রমিক মাহবুব আলম। তিনদিন পর্যন্ত এমন অত্যাচার সহ্য করার পর মালয়েশিয়ার পুলিশের একটি দল তাকে উদ্ধার করে।
মাহবুব আলমের বাড়ি বাংলাদেশের ভোলা জেলায়। মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কাজ করেন তিনি।
বাংলাদেশে পুলিশ বলছে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের অপহরণ করে দেশে মুক্তিপণ আদায় করার একটি চক্র গড়ে উঠেছে।
এরকম একটি চক্রের তিনজনকে রোববার ঢাকায় গ্রেফতার করেছে র্যাব। কর্মকর্তারা বলছেন, মালয়েশিয়াতে বসবাসরত বাংলাদেশিরাই স্থানীয় চক্রের সাথে মিলে এধরনের কার্যক্রম চালাচ্ছে।
গত মাসের ২৬ তারিখ মালয়েশিয়ার পাহাং জেলায় এই চক্রের হাতে অপহরণ হয়েছিলেন মাহবুব।
এরপর তাকে একটি পুরনো ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিবিসির শাহনাজ পারভীনকে মাহবুব বলছিলেন বন্দি থাকাকালে তার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা। বাংলাদেশে তার পরিবারের কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিলো। মাহবুবের পরিবার চাহিদা মত টাকা দিতে ব্যর্থ হলে অত্যাচারের পরিমাণ বেড়ে যায়।
মাহবুব ভেবেছিলেন, তাকে মেরে ফেলবে অপহরণকারীরা।
এরপর একদিন মালয়েশিয়ার পুলিশের একটি গাড়ি দেখে অপহরণকারীরা মাহবুবকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ উদ্ধার করে মাহবুবকে।
এরপর দূতাবাসের সাহায্যে দেশে ফিরে আসেন তিনি। কিন্তু এখন আর মালয়েশিয়াতে যেতে চান না তিনি।
তার আশংকা তাকে আরেকবার ধরতে পারলে অপহরণকারীরা তাকে মেরেই ফেলবে।
সপ্তাহ খানেক আগে লিবিয়াতে এরকম আরেকটি অপহরণ চক্রের পাঁচজন বাংলাদেশি সহযোগীকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
বি/বি/সি/এন