গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি: গোলাপগঞ্জে পারিবারিক ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে জটিলতা ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন এক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। শুক্রবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে অপপ্রচারের জবাব দেন উপজেলার বারকোট গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবী সাবুল আহমদ।
এ সময় তিনি বলেন আমার মৃত ভাই আকরাম আলীর স্ত্রী কর্তৃক সাম্প্রতিক সময়ে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে আমি ও আমার ভাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী ছুবুল আহমদের বিরুদ্ধে যে ভাবে অপপ্রচার করা হচ্ছে তা অত্যন্ত আপত্তিকর ও মানহানিকর কাজ। সামাজিক ভাবে আমাদেরকে হেয় করার জন্য একটি চক্রের ইন্দনে আমাদের বড় ভাই আকরাম আলীর স্ত্রী তইমুন নেছা ঐ সব অপপ্রচার চালিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে যাচ্ছেন। তৈয়মুন নেছা প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার মাধ্যমে মিথ্যাচার করে আমাদেরকে সামাজিক ভাবে ঘায়েল করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। যার জবাব দিতে আজ আমি আপনাদের স্মরনাপন্ন হয়েছি। আমার বিশ্বাস সাংবাদিকদের লিখনী দ্বারা সত্য বিষয়টি প্রকাশিত হলে মিথ্যাচারের জবাব দেওয়া হবে। তার লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে মানুষ সত্য মিথ্যা বুঝতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় তিনি লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন- আমার মৃত ভাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী আকরাম আলী দেশে যে সম্পত্তি করেছেন, তার অবর্তমানে আমরা অন্যান্য ভাইগণ তা দেখাশুনা ও পরিচালনা করে আসছি। যুক্তরাজ্যে তার প্রথম স্ত্রী ও দু’সন্তান রয়েছেন। যারা বিভিন্ন সময়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে আসছেন। আমার বড় ভাইয়ের প্রথম স্ত্রী ইংরেজী ভাষাভাষি ব্রিটিশ নাগরিক জেনিস মার্টিন এর গর্ভে ও আমার ভাইয়ের ঔরসে ১ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তান রয়েছে। তৈয়মুন নেছা হচ্ছেন আমার ভাইয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী, তিনিও তার গর্ভের সন্তানেরা প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের মতো স্থায়ী ভাবে যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। তিনি দেশে এসে প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের অস্বীকার করে আমার মৃত বড় ভাইয়ের সব সম্পত্তি একক ভাবে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করলে জটিলতার সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস.এম আব্দুর রহিম প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের বিষয়টি উল্লেখ করে উত্তরাধিকারী সনদ প্রদান করেছেন বলে তিনি জানান। এ সময় তিনি আরও বলেন ইউ/পি চেয়ারম্যানের সনদপত্রের আলোকে উত্তরাধিকারীগণ আমার ভাইয়ের সম্পত্তি নিজ নিজ নামে ভোগ দখল করতে চাহিলে আমার ভাবী তৈয়মুন নেছা বাঁধা হয়ে দাড়ান। আমরা কাহারও সম্পত্তি আত্মসাৎ বা গ্রাস করার লক্ষ্যে নয়, প্রকৃত উত্তরাধিকারীদের অবস্থান অক্ষুন্ন রাখতে ন্যায়ের পথে কাজ করায় আমি ও আমার ভাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী ছবুল আহমদের বিরুদ্ধে ভাবী তৈয়মুন নেছার সহযোগীতায় চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন মিডিয়ায় লাগামহীন অপপ্রচার। আমরা ঐ সব অপপ্রচারের জবাব দেওয়ার জন্য আজকের সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেছি।
এছাড়া আমার ভাবী তৈয়মুন নেছা ও তার সন্তানগণ আমার ভাই মৃত আকরাম আলীর সম্পত্তির একক দাবীদার হয়ে সমূহ সম্পত্তির আমাদের প্রতিবেশী নেছাই আলীকে আমমোক্তার নামার বলে ক্ষমতা দান করেন। আমমোক্তার গ্রহিতা নেছাই আলী এরই আলোকে ঐ সব জায়গা জমি দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেন এবং দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন ধরণের ফন্দি ফিকির করতে থাকেন। আমার ভাবীর পক্ষে তিনি মারমুখী হয়ে অবস্থান নিয়েছেন। সঙ্গে রয়েছে তার একটি বিশেষ বাহিনী। যার ফলে আমরা বর্তমানে চরম ভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। একই সঙ্গে ভাইয়ের অন্যান্য উত্তরাধিকারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে পদে পদে আঘাত প্রাপ্ত হচ্ছি। আমার বড় ভাই মৃত আকরাম আলীর সকল উত্তরাধিকারীর অধিকার ও সম্পত্তি প্রাপ্তির বিষয়টি সমভাবে বন্টনের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। তাই সকলের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমরা মৃত ভাইয়ের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছি।
এ ব্যাপারে তিনি সাংবাদিক সমাজ সহ সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করলেন। এ সময় সাবুল আহমদ অভিযোগ করে বলেন- জমি সংক্রান্ত বিষয়ে তাকে বিভিন্ন সময়ে মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। এখনও তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।