ডেস্ক স্পোর্টসঃ ম্যাচ ফিক্সিংয়ের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলছেনা পাকিস্তানের।এমনিতেই বহু বছর ঠিকমতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়না পাকিস্তানের মাটিতে শ্রীলংকার টিম বাসে গুলির ঘটনার পর থেকে।এর মধ্যেও চলছে পাতানো খেলা ও ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অনাকাঙ্ক্ষিত নানা ঘটনা।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি নিজেই জানিয়েছেন যে দলের একজন খেলোয়াড়কে ঘুষের অফার দেয়া হয়েছে।আর এটি হয়েছে বুধবার আবুধাবিতে শ্রীলংকার বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ানডে’র আগে, যেটিতে পাকিস্তান জিতেছে সাত উইকেটে।আর এ অফারটি এসেছে স্বয়ং অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের কাছে এবং তিনি সেটি বোর্ডকে তখনি সেটি জানিয়েছেন।

পরে বিষয়টি জানানো হয়েছে আইসিসিকেও।এর আগে গত মার্চেই ফার্স্ট বোলার মোহাম্মদ ইরফানকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিলো আইসিসি।তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো দু’দফায় ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও তিনি তা সময়মত কর্তৃপক্ষকে জানাননি।

১৯৯৪ সালে তিন অস্ট্রেলীয়কে ঘুষের বিনিময়ে বাজে খেলার প্রস্তাব দিয়ে নিষিদ্ধ হয়েছিলো সাবেক পাকিস্তানী অধিনায়ক সেলিম মালিক, যা ক্রিকেট জগতেই ঝাঁকুনি দিয়েছিলো প্রবলভাবে।এরপর গত দু দশকে আরো কয়েকজন পাকিস্তানী ক্রিকেটারকে নানা মেয়াদে শাস্তি পেতে হয়েছে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অপরাধে।তবে এটি শুধু পাকিস্তান নয়, ভুগিয়েছে অনেক দেশকেই।

দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক হ্যানসি ক্রনিয়ের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিলো বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনকেই।সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনও পেয়েছিলেন আজীবন নিষেধাজ্ঞা।শাস্তি পেতে হয়েছে সাবেক বাংলাদেশ অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলকেও।

এছাড়াও শাস্তি পেয়েছে শ্রীলংকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, কেনিয়া ও নিউজিল্যান্ডের কয়েকজন খেলোয়াড়ও।

B/B/C/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে