আন্তর্জাতিক রিপোর্টঃ যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নতুন প্রশাসনের মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে প্রথমবারের মত দুই নারীকে নিয়োগ দিয়েছেন। তারা দু’জনই এক সময় ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক ছিলেন।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায় নিয়োগ পাওয়া নারীদের মধ্যে রয়েছেন সাউথ ক্যারোলাইনার গভর্নর নিক্কি হেলি। তাকে জাতিসংঘে মার্কিন দূত হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া মিশিগানের বেটসি ডেভোসকে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি রিপাবলিকান দলের কোটিপতি দাতা। তবে দু’জনেরই মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনেটের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
হেলি সাউথ ক্যারোলাইনার প্রথম নারী এবং সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মধ্য থেকে আসা গভর্নর। ট্রাম্পের মুসলিম বিরোধী অবস্থানের সমালোচনা করে হেলি তার আচরণকে অ-অ্যামেরিকা সুলভ আচরণ বলে উল্লেখ করেছিলেন।
আর সমালোচক হেলিকেই জাতিসংঘে মার্কিন দূত হিসেবে বেছে নিয়ে ট্রাম্প বলেন, মানুষকে রাজি করানোর সামর্থ্য তার আছে, যা তিনি অতীতেও প্রমাণ করেছেন। আগামীতেও তিনি এ ধরণের অনেক কাজ করতে পারবেন বলে আশা করছি।
তিনি বলেন, হেলি বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিনিধিত্বকারী একজন বড় নেতা হবেন বলে মনে করি।
কূটনীতি ও পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে অত্যন্ত স্বল্প অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হেলিকে নিয়োগ দানের পর কূটনৈতিক অঙ্গনে তাকে নিয়ে এখন ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।
জাতিসংঘে নিয়োজিত বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা এখন রীতিমত হেলির ব্যপারে জানতে গুগলের সাহায্য নিচ্ছেন।
অন্যদিকে, ডেভোস একবার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইন্টারলুপার বা ‘অনধিকার প্রবেশকারী ব্যক্তি’ বলে তার সমালোচনা করেছিলেন।
প্রেসিডেন্ট পদে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত হবার আগ পর্যন্ত ট্রাম্পের সব ক’জন প্রতিদ্বন্দ্বীকে সমর্থন এবং আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছিলেন ডেভোস। তিনি বলেন, তাকে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় সম্মানিত বোধ করছেন।
বি/এস/এস/এন