আন্তর্জাতিক রিপোর্টঃ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নবনির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ওবামাকেয়ার নামে পরিচিত প্রেসিডেন্ট ওবামার স্বাস্থ্য-বিমা আইনটির মূল ভিত্তিগুলোকে হয়তো বাতিল নাও করতে পারেন।
নির্বাচনের আগে ২০১০ সালের এই আইনটিকে রদ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন মি. ট্রাম্প।
কিন্তু এখন তিনি বলছেন, পুরনো অসুখের ব্যাপারে ইনস্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর বিমা দাবি প্রত্যাখ্যানের উপর নিষেধাজ্ঞা তিনি অব্যাহত রাখবেন, যেমনটি রয়েছে ওবামাকেয়ারে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে তিনি বলেন, তিনি পিতা-মাতার পলিসি দিয়ে তাদের বয়োপ্রাপ্ত সন্তানদেরকে স্বাস্থ্য বিমার আওতায় রাখার পক্ষে।
এ দুটিই ওবামাকেয়ার মূল দুটি স্তম্ভ এবং মি. ট্রাম্প বলছেন, “আমি এগুলো খুবই পছন্দ করি”।
সংবাদপত্রটিকে মি. ট্রাম্প আরো বলেন, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে মি. ওবামাই তাকে বুঝিয়েছেন যে ওবামাকেয়ার বলে পরিচিতি পাওয়া কম-রোজগেরেদের এই স্বাস্থ্য-বিমা আইন বা অ্যাফোরডেবল কেয়ার অ্যাক্ট কেন তার পুনর্বিবেচনা করা উচিত।
হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল কেলেঙ্কারি তদন্ত করতে বিশেষ কৌঁসুলি নিয়োগের যে কথা ভোটের আগে বলেছিলেন, সেটি কি করবেন?
এই প্রশ্নে মি. ট্রাম্প বলেন, “এটা নিয়ে আমি আসলে তেমন একটা ভাবার সময় পাচ্ছি না। কারণ আমি স্বাস্থ্য, চাকরি, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এবং কর ব্যবস্থাপনা নিয়েই বেশী চিন্তিত”।
মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তোলা, ওবামাকেয়ার বাতিল, অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ করা, অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর মত নানা বক্তব্য ভোটের আগে দিয়েছেন মি. ট্রাম্প যা নানাভাবে আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছে।
কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে এসব প্রতিশ্রুতি দিয়েই হোয়াইট হাউজে প্রবেশের ম্যান্ডেট তিনি পেয়ে গেছেন।
ফলে ভোটের পর স্বভাবতই সবার নজর রয়েছে, বিতর্কিত ওই প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করতে কি করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প? কতটাই বা পারবেন?
নির্বাচনে জয়ের অবব্যহিত পরেই মি. ট্রাম্পের নির্বাচনী ওয়েবসাইট থেকে অবশ্য মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য নেই হয়ে গেছে।
এখন ওবামাকেয়ার নিয়েও সুর নরম হচ্ছে তার।
যদিও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এখনো তার অগ্রাধিকারেই আছে, কিন্তু মেক্সিকো সীমান্তে বিরাটাকর পাচিল তোলা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে কতটা সম্ভবপর হবে সেটা নিয়েও এখন প্রশ্ন তুলছেন অনেক বিশ্লেষক।
বি/বি/সি/এন