দুই দফায় ছয় দিনে শেষ হলো বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিরিজ বৈঠক। ছয় দিনে তিন শতাধিক নেতার বক্তব্য শুনলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দলের করণীয় ঠিক করতে দলীয় নেতাদের মতামত নিতে এই নির্বাহী কমিটির সভা ডাকেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।  

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ছয় ঘণ্টাব্যাপী শেষ দিনের রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, সংগঠনের অবস্থা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য কী করা যেতে পারে সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেসঙ্গে গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বাংলাদেশের মুক্তি এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যারা আলোচনা করেছেন তাদের সব বক্তব্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এরপরে আমাদের দলের নীতিনির্ধারণী সভায় সেগুলো নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে এবং তখন আপনারা জানতে পারবেন আমরা কী ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করবো।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় ধারাবাহিক বৈঠক। প্রথম দফায় তিন দিন দলের ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সম্পাদকমণ্ডলী এবং ৯টি অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক হয়। এরপর গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে তিনদিন নির্বাহী কমিটির সদস্যদের ধারাবাহিক বৈঠক হয়। বৃহস্পতিবার শেষ দিনে খুলনা, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগে নির্বাহী কমিটির ৮৫ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

দুই দফার ধারাবাহিক বৈঠকে ৪৯১ জন নেতা অংশ নেন। তাদের মধ্যে ৩শ জন বক্তব্য রাখেন।

২০১৮ সালের ৭ ফেব্রয়ারি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে নেওয়ার পরে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সঙ্গে এটাই তারেক রহমানের প্রথম বৈঠক।

২০১৬ সালের ১৯ মার্চ ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের পর খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গঠিত নির্বাহী কমিটির বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৫০২ জন।

সর্বশেষ দলের নির্বাহী কমিটির সভা হয় ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি। ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছিলেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ওই বছর ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় সাজা হওয়ার পরদিন থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন তার বড় ছেলে তারেক রহমান।

গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ছয়দিনের রুদ্ধদ্বার বৈঠকসমূহে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ারি তারেক রহমান সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সশরীরের উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে ছয় ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মহাসচিব ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

সভার শুরুতে শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স। সভা পরিচালনা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এনি। এছাড়াও সহযোগিতায় ছিলেন বিএনপির তথ্য গবেষণা সম্পাদক জেড খান রিয়াজুদ্দিন নসু, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার, প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান ও শামসুদ্দিন দিদার।

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে