প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, ‘বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নয়নে সরকার প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। তবে বিদেশী ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে গিয়ে কর সংক্রান্ত যেসব জটিলতার কথা তুলে ধরছেন, সেসব বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে ওয়াকিবহাল আছে। আশা করি, আগামী বাজেটে বিদেশী বিনিয়োগের জন্য করনীতি সহজ করা হবে।’
বুধবার ‘কোভিড পরবর্তী বিদেশী বিনিয়োগ : নতুন বাস্তবতা ও বাংলাদেশে এ বিষয়ে সংস্কার প্রাধিকার’ বিষয়ক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ফরেণ ইনভেস্টরস্ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই) ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এফআইসিসিআই সভাপতি রুপালী চৌধুরী, সংগঠনের সহ-সভাপতি ও ইউনিলিভার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান কেদার লেলে, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী সদস্য অভিজিৎ চৌধুরী, স্ট্যান্ডার্ট চাটার্ড ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয় প্রমূখ বক্তব্য দেন।
ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. মাসরুর রিয়াজ।
সালমান এফ রহমান বলেন, ব্যবসা সহজকীরণ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আরও দৃঢ়তর করতে বিডা এক দরজায় সব সেবা (ওএসএস) চালু করেছে। কিন্তু সামগ্রিক বিনিয়োগ পরিবেশের জন্য এখনও অনেক জায়গায় আমাদের উন্নতি করতে হবে। কর জটিলতা দূর করার পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করার মত আরও কিছু কাজ করতে হবে ।
তিনি বলেন, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আনুপাতিক হারে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ অত্যন্ত কম। দেখা যায়, প্রয়োজনীয় রাজস্ব সংগ্রহ বিবেচনায় করহার কিছু ক্ষেত্রে বেশি কিংবা রাজস্ব প্রশাসনে জটিলতা রয়ে গেছে। এসব বিষয়ে সরকার উচ্চ সব পর্যায় থেকে ওয়াকিবহাল রয়েছে এবং সরকারের সবাই এটি অনুধাবন করে বলে তিনি জানান।
উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করে বলেন, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য আগামী বাজেটে করনীতি সহজ করা হবে।
সালমান এফ রহমান মনে করেন, বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে দক্ষ মানব সম্পদের অভাব একটা বড় সমস্যা। এক্ষেত্রে দেশে যেসব বহুজাতিক কোম্পানি ব্যবসা পরিচালনা করছে, তারা সরকারকে সহযোগিতা করতে পারে। তিনি দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির জন্য সরকারের পাশাপাশি বহুজাতিক কোম্পানিসমূহকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
BSSN