রাজশাহীতে বিনম্র শ্রদ্ধায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। জন্মদিনে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাবেক সভাপতি রমজান আলী’র আয়োজনে খাবার বিতরণ করা হয়।
বুধবার (২৬ জুন) সকালে নগরীর কাদিরগঞ্জস্থ শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের সমাধীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুরে রাজশাহী রেলস্টেশন চত্ত্বরে দূস্থ অসহায় সাধারণ মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।।
খাবার বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবলীগের নব নির্বাচিত সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, নগর আওয়ামী লীগের সদস্য খাইরুল বাশার শাহীন, ইসমাইল হোসেন, মজিবুল হক, নগর যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিনুল রহমান খান রুবেল যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হেনুর রহমান রয়েল সহ সাবেক এবং বর্তমান কমিটি নেতৃবৃন্দ।

এ সময় যুবলীগের সাবেক সভাপতি রমজান আলী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। মুজিবনগর সরকারের স্বরাষ্ট্র, কৃষি এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ১৯৭৪ সালের ১৮ জানুয়ারি তিনি মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে শহীদ কামারুজ্জামান সহ জাতীয় চার নেতা মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন। তাঁদের আত্মত্যাগ ও দেশ প্রেম আমাদের জন্য আদর্শ। আমরা তাঁদের অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করতে চাই।

তিনি আরো বলেন, তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের কথা বলে শেষ করা যাবে না। তিনি ৩৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনে যেমন কর্মীবান্ধব ছিলেন তেমনি দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তিনি প্রজ্ঞা ও মেধা দিয়ে দেশ গড়ার কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর কারাগারের অভ্যন্তরে এএইচএম কামারুজ্জামান সহ আরো জাতীয় তিন নেতাকে হত্যা করে ঘাতকেরা। আজ তাঁর ১০১ তম জন্মদিনে আমরা তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করি। আল্লাহ যেনো তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মোকাম দান করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে