আতিকুর রহমান, লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে জমিজমা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে লালপুর থানায় অভিযোগ পাওয়া গেছে।

দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের শবকুল মালিথার ছেলে মেহেরুল ইসলাম বাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।

অভিযুক্তরা হলেন, একই গ্রামের মৃত ইমারতের ছেলে জিয়া(৪০) ও মিরাজ আলী(৫০), কমর আলীর ছেলে জেকের(৫০), পিয়ার মালিথার ছেলে ছাবেরুল ইসলাম(৩০), মৃত এলাহী মালিথার ছেলে রান্টু আলী এবং মৃত আবু মালিথার ছেলে মামুন আলী(২৮)।

এ বিষয়ে অভিযোগকারী মেহেরুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তরা ইতিপূর্ব হতেই আমার হকস্ত দখলীয় ক্রয়কৃত জয়কৃষ্ণপুর মৌজায় অবস্থিত ৩৯ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল নেওয়ার উদ্দেশ্য গত ৯ এপ্রিল আনুমানিক দুপুর ১ টার দিকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বিবাদীগন সহ তাদের ভারাটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে দলবদ্ধ ভাবে আমার উক্ত দখলীয় সম্পত্তিতে জোর পূর্বক প্রবেশ করে আমার জমিতে রোপনকৃত পাট ফসল নষ্ট করতে থাকলে আমার স্ত্রী রেহেনা(৩২) ও আমার মা আছিয়া বেগম(৬০) তাদের নিষেধ করতে গেলে বিবাদী মিরাজ আমার মায়ের ডান হাতে ড্রেগার দিয়ে ছুড়ে মারে এবং জিয়া আমার স্ত্রীর চুল ধরে মাটিতে ফেলে দিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য পরনে থাকা পোষাক ছিড়ে ফেলে কিল ঘুষি লাথি মারতে থাকে। পরে তাদের উদ্ধার করতে আমার চাচী এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে আমি খবর পেয়ে উক্ত জমিতে প্রবেশ করলে তারা আমার থেকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে বলে যদি টাকা না দিস তাহলে তোর জমি আমরা দখল দেবো না।

অভিযোগ কারী আরো বলেন,আমি উক্ত টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা আমাদের তাড়া করলে আমরা কোন মতে বাড়িতে চলে আসলেও সন্ত্রাসীরা আমার বাড়ি ঘেরাও করে। অবশেষে আমি নিরুপায় হয়ে ৯৯৯-এ ফোন করলে লালপুর থানার পুলিশ এসে আমাদের রক্ষা করেন। পরে আমি আমার মা, স্ত্রী ও চাচীকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করিয়ে তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হয়েছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্তরা বলেন,মেহেরুলের দায়ের করা অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। জমিটি নিয়ে আদালতে পেনশন মামলা চলছে, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, আদালত যে পক্ষে রায় দিবে তা আমরা মেনে নিবো। কিন্তু মেহেরুল নিজের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জোরপূর্বক বিভিন্ন কলা কৌশল অবলম্বন করে জমিটি তার নিজের আয়ত্তে আজীবন রাখার জন্য এ ধরনের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির পায়তারা করছে।

এ বিষয়ে লালপুর থানার ওসি মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি,তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে