‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০২০’ উপলক্ষে ডিএমপি উত্তরা বিভাগের উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়েছে। উত্তরাস্থ আব্দুল্লাহপুরের পলওয়েল কারনেশন সেন্টার মিলনায়তনে আজ (৩১ অক্টোবর, শনিবার) সকাল এগারটায় উত্তরা বিভাগের বিভিন্ন থানা পর্যায়ের কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
ডিএমপি, উত্তরা বিভাগের নব-নিযুক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ শহিদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী কামরুল আহ্সান ও বিশেষ অতিথি, ডিএমপি ট্রাফিক দক্ষিণ এর যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বাসুদেব বণিক।
তৎকালীন ব্রিটিশ, পাকিস্তান ও অন্যান্য আমলের সময় সমাজে চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি ও জমিজমা সংক্রান্ত দাঙ্গা-হাঙ্গামায় অপরাধ সীমিত থাকলেও যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে অপরাধের ধারা পরিবর্তিত হয়ে সমাজে সন্ত্রাসী কর্মকা-, ছিনতাই, বেআইনী অস্ত্র, অপহরণ, মাদকদ্রব্য প্রাপ্তি, চোরাকারবারি, প্রতারণা এবং ইভটিজিংয়ের পাশাপাশি সর্বশেষ সাইবার ক্রাইম যুক্ত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী কামরুল আহ্সান বলেন, ‘ পুলিশের প্রধান দায়িত্ব হলো দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন। সমাজে জনসংখ্যা ও বেকারত্ব বৃদ্ধি পাবার সাথে সাথে বিভিন্ন কারণে অপরাধ প্রবণতাও বৃদ্ধি পেতে থাকে। পুলিশকে এত এত অপরাধ এবং অপরাধীর সাথে সবসময় যুদ্ধ করতে হয়। সমাজে যে অপরাধটি একটু বেশি হচ্ছে সেই অপরাধকে নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে।’
স্কুল ও কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে যে ধরনের ইভটিজিংয়ের মানসিকতা ও মাদকসহ অন্যান্য যেসব অপরাধ প্রবণতা রয়েছে সেদিকে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্যদের সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে বলে জানান তিনি। এছাড়াও সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজিসহ সকল ধরণের অপরাধ দমনে পুলিশকে সহযোগিতার ব্যাপারে সচেতন নাগরিকদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। এদিকে, ডিএমপি উত্তরা বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০২০ এর সভাপতির বক্তব্যে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ শহিদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা আগামী দিনগুলোতে আপনাদের সহযোগিতায় কাজের মাধ্যমে একে-অপরের আস্থা অর্জনে সক্ষম হবো এবং আমরা আরো সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে এগিয়ে যাব।’ দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজনটির সঞ্চালনা করেন দক্ষিণখান জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ হাফিজুর রহমান। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘মুজিব বর্ষের মূলমন্ত্র, কমিউনিটি পুলিশিং সর্বত্র’।
এ বছর উত্তরা বিভাগে শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পুলিশিং কর্মীর খেতাব অর্জন করেছেন দক্ষিণখান থানা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি ইলিয়াস উদ্দিন সরকার এবং পুলিশের মধ্য হতে শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পুলিশিং কর্মকর্তার খেতাব অর্জন করেন দক্ষিণখান থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত সরোয়ার আলম খান।
Uttara/N