sirin-sharmin ডেস্ক রিপোর্টঃ স্পিকার এবং সিপিএ’র চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে মুক্ত ধারার সাংস্কৃতিক গণজাগরণ সৃষ্টির আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদকে প্রতিহত করতে হলে অন্যান্য সকল ধরনের পদক্ষেপের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক আন্দোলনকেও জোরদার করতে হবে।
তিনি গতকাল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন মিলনায়তনে সার্ক কালচারাল সোসাইটি আয়োজিত ৯ম মৈত্রী উৎসব-২০১৬ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহবান জানান।
স্পিকার বলেন, ‘রক্ত দিয়ে আমারা ইতিহাস রচনা করেছি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে তার একটি অঙ্গুল হেলনে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধসহ দেশের সকল শ্রেনী ও পেশার মানুষ স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেয় এবং দেশের স্বাধীনতা অর্জন করে।’
তিনি বলেন, ‘এদেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনায় বিশ্বাস করে। সেটাই আমাদের অংগীকার এবং সেটাই আমাদের ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যকে ধারন করে আমরা বেঁচে থাকতে চাই।’
তিনি বলেন, বিভিন্ন ভাষাভাষী, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকল মানুষের ভেতরে সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে মৈত্রীর বন্ধন ও সেতু বন্ধন রচনা করা যায়। তিনি সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে সমাজকে এগিয়ে নেয়ার আহবান জানান।
স্পিকার আরো বলেন, সংস্কৃতিক চর্চা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্র অর্থাৎ ইনক্লুসিভ ডেমোক্রেসি নির্মাণের একটি ক্ষেত্র যেখানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষ একত্রে বসবাস করবে ও সুনিবিড়ভাবে কাজ করতে পারবে। তিনি সাংস্কৃতির চর্চার মাধ্যমে কালচারাল, রিলিজিয়ন ও আর্থ- সামাজিক বিভিন্ন ধর্ম, পেশা ও চিন্তার মানুষকে একই প্লাটফরমে সুনিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একত্রে কাজ করার আহবান জানান ।
স্পিকার বলেন, সংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে বেটার আন্ডারস্ট্যান্ডিং অব ডাইভারসিটি সৃষ্টি হয়। সহনশীল সমাজ ব্যবস্থা বিনির্মাণের ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অপরিসীম। পরমত সহিষ্ণুতা ও পরষ্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বৃদ্ধির মাধ্যমে সংস্কৃতিক গনআন্দোলকে এগিয়ে নিতে হবে। তিনি বাংলাদেশের সাথে সার্কভুক্ত অন্যান্য দেশের সাংস্কৃতিক চর্চা সুদৃঢ় করার দীপ্ত প্রত্যয় ঘোষণা করেন এবং সার্কভুক্ত দেশের সংসদের সাথে কাজ করার মাধ্যমে সুন্দর ও উন্নত দক্ষিণ এশিয়া বিনির্মাণের লক্ষে সকলকে একসাথে কাজ করার আহবান জানান ।
সার্ক কালচারাল সোসাইটির সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নৌ -পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি, সর্ব ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস পশ্চিম বঙ্গ প্রদেশ কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রীতম ঘোষ, আসামের সাবেক বিধায়ক পদ্মশ্রী অজয় দত্ত, আসাম বিধান সভার বিধায়ক শিলাদিত্য দেব, হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রীষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সদস্য সচিব নকুল চন্দ্র সাহা এবং রোটারিয়ান আলহাজ্ব কামাল উদ্দিন।
প্রধান অতিথি প্রদীপ জ্বালিয়ে দু’দিনব্যাপী ৯ম সার্ক মৈত্রী উৎসব -২০১৬ এর উদ্বোধন করেন এবং ভারত থেকে আগত অতিথিবৃন্দের মধ্যে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।
পরে অনুষ্ঠানে অতিথিদের সম্মানে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে