গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে ছাত্রীর শরীরে হাত দিয়ে ফেসবুকের নোংরা ছবি দেখিয়ে ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করেন, নারী লুভী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিম। ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পরাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, গত ৬ই আগষ্টে।

অভিযোগ দায়েরের ২৬ দিন পেরিয়ে গেলেও চাঞ্চল্যকর ঘটনাটির তদন্ত না করে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে।

এর উদহারন মেলে অভিযোগের তারিখে, অভিযোগটি গত ৬ই আগষ্টে দায়ের হলেও এখনও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি বা কোন প্রকার আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি উপজেলা শিক্ষা অফিস।

গত বুধবার দুপুরে উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের কাছে সংবাদকর্মী উপস্থিত হয়ে, চাঞ্চল্যকর ঘটনার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, এ ধরনের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে, এবিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো কিনা তা আমি জানিনা।

এর আগে শিক্ষা অফিসের কেরানির রুমে সংবাদকর্মী উপস্থিত হলে, উপজেলার পশ্চিম পরাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীকে নিয়ে ঘটনাটি সম্পর্কে একটি গোপন তথ্য মেলে।

শিক্ষা অফিসে কেরানী আবু রায়নের সামনে বসে থাকা কয়েক জন প্রধান শিক্ষক বলছেন পশ্চিম পরাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিমের বিষয়টি সমাধানে এনেছেন।

বিশস্ত সুত্রে জানা যায়, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ভুক্তভোগীকে চাপ সৃষ্টি করে, সমাধানে পৌছাতে চায় নারী লুভী প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিম।

এ বিষয়ে বেশকিছু অভিভাবকের সাথে কথা হলে তারা জানান, এ বিদ্যালয়ে আমাদের বাচ্চাদের নিরাপত্তা নেই, এতো বড় ঘটনা ঘটার পরেও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূল্যক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে অর্থের কাছে বিক্রয় হয়েছে উদ্বর্তন কর্মকর্তারা।

আমরা মনে করি ভবিষ্যতে এমন ধরনের আরো ঘটনা ঘটতে পারে আব্দুল করিম, আমরা আমাদের সন্তানদের হেফাজতে রাখার জন্য বিদ্যালয় থেকে বাচ্চা সরিয়ে নিয়েছি।

এ বিষয়ে উপজেলার প্রায় ২৫/৩০ জন প্রধান শিক্ষকের সাথে আব্দুল করিমের বিষয়ে কথা হলে তারা জানান, তিনি একজন প্রচন্ড খারাপ প্রকৃতির মানুষ।

আমরা গত ৫ আগষ্টে সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রতিবেদন ভাসতে দেখেছি, ব্যাপক ছাড়া মিলেছে প্রতিবেদনটির।

আমরা দেখেছি ঐ প্রতিবেদনে বিদ্যালয়টির সকল সহকারী শিক্ষক ও ভুক্তভোগী ছাত্রী স্পষ্ট সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।

স্থানীয় এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় বিভিন্ন মহলে টাকার ছড়াছড়ি চলছে, ঘটনাটির প্রকৃত সত্যতা থাকার পরেও ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়া হচ্ছে কেন।

এ ব্যাপারে পশ্চিম পরান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিমের সাথে কথা হলে তিনি দৈনিক বাংলা পত্রিকাকে জানান, এ বিষয়ে একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছে বাবু নামে এক ব্যক্তি।

কোন গণমাধ্যমে নিউজ আসেনি, আমরা একটি প্রতিবাদ দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, অভিযোগকারী যদি অভিযোগ তুলে নেয়, তাহলে তো আর কোন ঝামেলাই নেই। আমরা স্থানীয় ভাবে চেয়ারম্যানসহ বিষয়টি মিমাংসার দিকে যাচ্ছি।

এব্যাপারে গত ০১/০৯/২৩ ইং তারিখে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমাদের কাছে অভিযোগ এশেষে , আমরা বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে