নীলফামারী প্রতিনিধিঃ বাসাবাড়ির আশপাশ পরিস্কার রাখলে মিলবে সোনার কানের দুল। ব্যতিক্রমী পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন প্রথম শ্রেণির সৈয়দপুর পৌরসভার চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত মেয়র অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন সরকার।
মঙ্গলবার সকালে (২২ নভেম্বর) পরিস্কার-পরিচ্ছনন্নতা অভিযান পরিদর্শনের সময় উপস্থিত নারী-পুরুষ ওয়ার্ডবাসী ও সাংবাদিকদের একথা বলেন।
মেয়র বলেন, উত্তর জনপদের অতি! গুরুত্বপূর্ণ এই পৌরসভার পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয়েছে। পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা দিনে ২/৩ বার শহর ও পাড়া-মহল্লার আবর্জনা পরিস্কার করছেন। পাশাপাশি পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলররা এ কাজ তদারকি করছেন। তারা প্রতিদিন ভোরে পৌরসভায় হাজিরা দিয়ে এ কাজে বেড়িয়ে পড়ছেন। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গঠন করা হয়েছে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানের কমিটি। বাসবাড়ির আশপাশ যেসব গৃহবধূ পরিস্কার- পরিচ্ছন্ন রাখবেন তাদের সোনার কানের দুল উপহার দেওয়া হবে।
ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট স্থানে ডাষ্টবিন স্থাপন করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও ডাষ্টবিন বসানো হবে। এলাকাবাসীকে বাসবাড়ির ময়লা- আবর্জনা রাখার জন্য পলিব্যাগ বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। সকলের সহযোগিতায় অচিরেই এই শহর পরিস্কার- পরিচ্ছন্নতার রোল মডেল হবে বলে আশা করেন মেয়র।
তিনি উল্লেখ করে বলেন, কাজের গতি আনতে মেয়র ও কাউন্সিলররাও ঝাড়–হাতে নিতেও কুন্ঠাবোধ করছেন না। ইতোমধ্যে এই কাজ করে তারা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। প্রথম শ্রেনীর সৈয়দপুর পৌরসভায় সরকারি বরাদ্দ কম থাকায় ট্যাক্সের টাকায় পৌরসভার সকল কার্যক্রম চলছে। ফলে পৌরসভার নাগরিকরা অনেক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এরপরও পৌরসভার নিজস্ব ওয়েবসাইট www.saidpurpourashava.org.bd খোলা হয়েছে। যেখানে নাগরিকত্ব আবেদন ফরম, নকশা অনুমোদন ফরম, হোল্ডিং নাম পরিবর্তন ফরম, পুনঃবিবাহ নাকরণ সনদপত্র, জন্মনিবন্ধন, মৃত্যু নিবন্ধন, সংশোধনসহ আবেদন ফরমসহ অন্যান্য ফরমসহ পৌরসভার বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তি একই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে বলে মেয়র জানান।
সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন সরকার আরও জানান, অর্থ সঙ্কটের কারণে সময়মতো রাস্তাঘাট সংস্কার বা মেরামত করা সম্ভব হয়ে উঠে না। তবে এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় পৌর এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়নে কাজ হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে পৌর এলাকার পাড়া- মহল্লার বেশকিছু রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে।
শহরের এয়ারপোর্ট সড়কটি বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে মিউনিসিপ্যাল গভর্নেন্স সার্ভিসেস প্রজেক্টের আওতায় প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়কটি চারলেনে উন্নীতকরণের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। এ কাজে ব্যয় হচ্ছে ১৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এসব কাজ শেষ হলে পৌরবাসীর চলাচলের দুর্ভোগ অনেকাংশে কমে আসবে। পৌরসভা নিজস্ব আয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, রোড স্ট্রীট লাইট, বেওয়ারিশ কুকুর নিধন ও পৌরবৃত্তি অব্যাহত রাখায় সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছে।