ডেস্ক রিপোর্টঃ বাংলাদেশে খাদিজা বেগম হত্যা চেষ্টার মামলায় ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বুধবার দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন সিলেটের মহানগর দায়রা জজ।

প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর গত বছরের ৩রা অক্টোবর মাসে সিলেটে কলেজ ছাত্রী খাদিজা বেগমকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র এবং ছাত্রলীগের স্থানীয় এক নেতা বদরুল আলম।

এই হামলার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এবং এ নিয়ে সারাদেশে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিলো।

বদরুল আলমকে ঘটনাস্থল থেকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে জনতা। এর পরের দিন খাদিজার চাচা আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। বদরুল আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিও দেন।

পুলিশ ৮ই নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এরপর ২৯শে নভেম্বর থেকে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। যুক্তিতর্ক শেষে গত ৫ই মার্চ রায় ঘোষণার জন্য ঠিক করে দেন বিচারক।

ঢাকার হাসপাতালে দীর্ঘ চিকিৎসার পর খাদিজা বেগম সম্প্রতি বাড়িতে ফিরেছেন।

হামলার পর খাদিজাকে ঢাকার হাসপাতালে দীর্ঘ চিকিৎসা নিতে হয়        হামলার পর খাদিজাকে ঢাকার হাসপাতালে দীর্ঘ চিকিৎসা নিতে হয়

এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় আইন ও শালিস কেন্দ্রে কর্মকর্তা নীনা গোস্বামী বলছেন, ”এর আগেও একটার পর একটা ঘটনা ঘটেছে, তবে এবার একটু ভিন্নতা দেখা যাওয়ায় এটি বড় ঘটনা হয়েছে। এখানে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদী হয়েছে, তারা আসামীকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। তাদের মধ্যে চিন্তা তৈরি হয়েছে যে, কোথায় আমরা বসবাস করছি?”

নীনা গোস্বামী বলছেন, ”এই ঘটনার ভিডিও চিত্র ফেসবুকে আলোড়ন তৈরি করে, মানুষের হাতে হাতে চলে যায়। ফলে এটি মানুষের মনকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে, তারা এটি ভালোভাবে নেননি। এটির বিচার হোক, সবাই সেটি চেয়েছেন।”

”সবাই সচেতন হয়েছে, রাতারাতি বদলে গেছেন, এটা হয়তো এখনি বলা যাবে না। তবে একটি বার্তা পরিষ্কার হয়েছে, এ ধরণের ঘটনা ঘটালে কেউ ছাড় পাবে না।” বলছেন আইন ও শালিস কেন্দ্রের এই কর্মকর্তা।

বি/বি/সি/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে