ডেস্ক রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার দেশের বিদ্যমান প্রাকৃতিক গ্যাস অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জনগণের কল্যাণে ব্যবহার অব্যাহত রাখবে। রাশিয়ার গাজপ্রম গ্যাস কোম্পানীর একটি প্রতিনিধি দল আজ বিকলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের যে প্রাকৃতিক গাস রয়েছে তা আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম আজ বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিতকরণ কালে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে একথা বলেন।
দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার প্রসংগ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাঁর সরকার রাশিয়ার সহায়তায় পাবনার রুপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করছে। রাশিয়া সবসময়ই আমাদের ইতিবাচক সহযোগিতা করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে বলেন, স্বাধীনতার পর চট্টগ্রাম বন্দরকে মাইন মুক্ত করতে গিয়ে বেশ কিছু রুশ নৌ সেনা জীবন দান করে।
গাজপ্রম প্রতিনিধি দলের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তাঁদের কোম্পানী আজ পেট্রোবাংলার সঙ্গে অনুসন্ধান, উন্নয়ন, উৎপাদন, সরবরাহ, পরিশোধন বিষয়ক গ্যাসের বাজারজাতকরণ এলএনজি সহ উপজাতপণ্য সম্পর্কিত প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য এবং জ্বালানি খাতের উন্নয়ন ও বিদ্যুৎ অবকাঠামো, কর্মীদের উন্নয়নে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করে।
তাঁর বলেন, সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী বাংলাদেশে গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য গাজপ্রম ভোলায় তিনটি কূপ খনন করবে।
বন্ধুত্বপ্রতিম দুই দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্রে এই চুক্তিকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ অভিহিত করে গাজপ্রম প্রতিনিধি দলের সদস্যরা তাঁদের আস্থা ব্যক্ত করে বলেন, এটি সুষ্ঠুভাবে কাজ করবে।
এই সমঝোতা স্মারক আরো বড় বিষয়েও সহযোগিতার সুযোগকে উন্মুক্ত করবে উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, গাজপ্রম গ্যাস খাতে উচ্চমান সম্পন্ন কাজের জন্য সুপরিচিত।
গাজপ্রম ২০২৪ সাল নাগাদ বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহে আগ্রহী উল্লেখ করে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, ‘আমরা পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং ঢাকায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার আই. ইগনেটভ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গাজপ্রম ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি বৃহৎ রুশ কোম্পানী যা নিষ্কাশন, উৎপাদন, পরিবহন এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের বিক্রয় নিয়ে চলে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম গ্যাস উৎপাদনকারী সংস্থা।

B/S/S/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে