ডেস্ক রিপোর্ট : ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন হারেকালা হাজাব্বা। এ খবরটি যখন জানলেন তখন তিনি রেশন দোকানের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এক টুইটে এমনটিই জানিয়েছেন ভারতের বন বিভাগের কর্মকর্তা পারভীন কাসওয়ান। এনডিটিভি বলছে, ২০২০ সালে পদ্মশ্রী পেয়েছেন ১৪১ জন। তাদের মধ্যে ৬৮ বছর বয়সী হারেকালা পেশায় একজন কমলা বিক্রেতা। স্বল্প আয় দিয়েই তিনি কর্নাটকের নিজ গ্রাম নিউপাদাপুতে একটি অস্থায়ী বিদ্যালয় স্থাপন করেন। ২০০০ সালে এই বিদ্যালয় স্থাপনের আগে সেখানে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই ছিল না বলে জানিয়েছে বিবিসি।
শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় একপর্যায়ে স্কুলের জন্য জমি কিনতে নিজের সঞ্চয়ের পাশাপাশি ঋণও নিয়েছিলেন স্বল্প আয়ের এই মানুষটি। রোববার পোস্ট করা টুইটে কাসওয়ান বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ যখন তাকে তার পদ্মশ্রী পুরস্কার পাওয়ার কথা জানাচ্ছে, তখনও হারেকালা রেশনের লাইনে দাঁড়িয়ে। দক্ষিণ কন্নডের এ ফলবিক্রেতা গত একদশক ধরে তার গ্রাম নিউপাদাপুর একটি মসজিদে দরিদ্র শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থা করে আসছেন। সবই তিনি করেছেন নিজের সঞ্চয় দিয়ে।’
কখনও স্কুলের চৌকাঠ না মাড়ানো হারেকালা দ্য নিউজ মিনিটকে জানান, বিদেশি এক দম্পতির কাছে ফল বিক্রি করতে ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি তার গ্রামে স্কুল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বলেন, ‘ওই দম্পতি আমার কাছে কমলার দাম জিজ্ঞেস করেছিল, তখন আমি তা বুঝতে পারিনি। অনেক চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু আমি টুলু ও বিয়ারি ভাষা ছাড়া কিছুই বলতে পারতাম না। তখন ওই দম্পতি চলে যান। আমার খুব খারাপ লেগেছিল। আমার গ্রামের শিশুদের যেন কোনোদিন এমন পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়, তা ভেবেছিলাম। বুঝতে পেরেছিলাম, যোগাযোগ কীভাবে একজনকে জীবনে এগিয়ে যেতে এবং মানুষকে কাছাকাছি আনতে সাহায্য করে।
J/T/N