পর্দা নামলো ১৩তম আইপিএল আসরের। সমাপ্তি ঘটলো ৫৩ দিনের ক্রিকেট উৎসবের। করোনার প্রকোপ সত্ত্বেও মরুর দেশ আরব আমিরাতের মাঠে হয়ে গেলে এবারের আয়োজন। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের শেষ হাসির মধ্য দিয়ে উৎসবের ইতি ঘটলো। সর্বোচ্চ পাঁচবার শিরোপা জয় করে রেকর্ড গড়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে অর্জনের শেষ নেই। শুধু শিরোপা জয়ই নয়, সর্বোচ্চ রান, সবচেয়ে বেশি উইকেট কিংবা সর্বোচ্চ ছক্কা কে মারলেন? এসব নিয়ে থাকে কৌতূহল। একনজরে দেখে নেওয়া যাক এবারে আসরের অর্জনগুলো-

সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক:

টি টোয়েন্টি মানেই তো ধুন্ধুমার ব্যাটিং। চার-ছক্কার ফুলঝুরি। তাই ব্যাটসম্যানদের রান তোলার গতিও থাকে দেখার মতো। কে কাকে ছাড়িয়ে যাবেন তা নিয়ে শুরু হয় প্রতিযোগিতা। ব্যাটসম্যানদের রান তোলার লড়াইয়ে অবশ্য এবারের আসরে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের লোকেশ রাহুল। গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়লেও সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় আছেন তিনি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৬৭০ রান। এছাড়া পুরো টুর্নামেন্টে ৫০০ এর বেশি রান করেছেন আরো পাঁচ ব্যাটসম্যান।

এই তালিকায় ৬১৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন শিখর ধাওয়ান। এছাড়া ডেভিড ওয়ার্নারের সংগ্রহ ৫৪৮ রান। এরপরই ৫১৯ রান নিয়ে আছেন দিল্লির অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। পাঁচ নম্বরে আছেন ইশান কিশান। তার সংগ্রহ ৫১৬ রান। ১ সেঞ্চুরি ও ৫ ফিফটিতে ৬৭০ রান করা রাহুল পেয়েছেন সেরা ব্যাটসম্যানের পুরস্কার ‘অরেঞ্জ ক্যাপ’!

সর্বোচ্চ উইকেটধারী:

সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া বোলারের পুরস্কার হিসেবে পার্পেল ক্যাপ পেয়েছেন দিল্লি ক্যাপিট্যালসের দক্ষিণ আফ্রিকান বোলার কাগিসো রাবাদা। সর্বোচ্চ ৩০ উইকেট নিয়ে সবার সেরা হন তিনি। এরপরই আছেন যাশপ্রীত বুমরা। তার সংগ্রহ ২৭টি উইকেট। আর ২৫ উইকেট নিয়ে তিন নম্বরে মুম্বাইয়ের ট্রেন্ট বোল্ট।

সর্বোচ্চ ছক্কা:

টি-টোয়েন্টি মানেই চার-ছক্কার ধামাকা। এবারের টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড গড়েছেন ইশান কিশান। ৩০টি ছক্কা মেরেছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের এই ব্যাটসম্যান। ২৬ ছক্কা নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন সঞ্জু স্যামসন। এরপরই আছেন হার্দিক পান্ডিয়া। তার ছক্কার সংখ্যা ২৫টি।

সর্বোচ্চ চার:

এই তালিকায় সবার চেয়ে এগিয়ে শিখর ধাওয়ান। তার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৬৭টি চার।

সর্বোচ্চ স্ট্রাইকরেট:

এবারের টুর্নামেন্টে বেস্ট স্ট্রাইক রেটের পুরস্কার জিতেছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান কাইরান পোলার্ড। সর্বোচ্চ ১৯১.৪২ স্ট্রাইক রেটে ‘সুপার স্ট্রাইকার অব দ্য সিজন’ পুরস্কারটা নিজের দখলে নিয়েছেন এই ক্যারিবিয়ান।

গেম চেঞ্জার:

এবারের আসরে ‘গেমচেঞ্জার অব দ্য সিজন’ পুরস্কার জিতেছেন লোকেশ রাহুল। এছাড়া ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড গেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের ঘরে। এই আসরে সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর দেবদূত পাড়িক্কাল।

টুর্নামেন্ট সেরা:

সবচেয়ে আকর্ষণীয় পুরস্কার। ১৩তম আসরে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট পুরস্কার জিতেছেন জোফরা আর্চার। ব্যাট এবং বল হাতে অলরাউন্ডার পারফরমেন্স দিয়েই এই পুরস্কার জয় করে নিয়েছেন তিনি। উইকেট ২০টি, ক্যাচ ৫টি, আর ব্যাট হাতে ছক্কা ১০টি। সবমিলিয়ে রাজস্থান রয়্যালসের ফাস্ট বোলার জোফরা আর্চার জিতেছেন এই পুরস্কার।

ফাইনালে ম্যান অব দ্য ম্যাচ:

ফাইনালে দুর্দান্ত বল করে এই পুরস্কার জিতেছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বোলার ট্রেন্ট বোল্ট।

BD/P

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে