কাওছার হামিদ, কিশোগঞ্জ, নীলফামারী: গাছের ডাল কাটাকে কেন্দ্র করে দাদা-নাতীকে নিজ দোকানে বেঁধে ডাংমার করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক বিডিআর ফরহাদ হোসেন স¤্রাট এর বিরুদ্ধে।

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকালে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মেডিকেল মোড় ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে আসেন পুলিশ।

ডিএসবি এ এস আই আলমগীর হোসেন ঘটনার ভিডিও ধারন করার সময় সাবেক বিডিআর সদস্য ফরহাদ হোসেন সম্্রাট তার ফোন কেড়ে নিয়ে চরথাপ্পর মারেন।

বাধা দিতে গেলে অপর দুই পুলিশ সদস্য রফিক ও আনোয়ারুল হকের সাথে এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে ডিএসবি থানায় বিষয়টি জানালে কিশোরগঞ্জ থানার জরুরী ফোর্স ঘটনাস্থলে আসলে সেখানে আবারও বাকবিতন্ডা শুরু হয়। পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি একপর্যায়ে তিনি পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে নিজ বাসায় পালিয়ে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দেন। পরে ফরহাদ হোসেন স¤্রাটকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান দোকানে পিছনে দুপুর বেলা খড়ি সংগ্রহ করতে যান সদর ইউনিয়নের যুগিপাড়া গ্রামের কমল চন্দ্র দাসের ছেলে ৩য় শ্রেণির ছাত্র জয়ন্ত চন্দ্র দাস। সেখানে সাবেক সদস্য ফরহাদ হোসেন সম্্রাটের গাছে চড়ে দুটি গাছের ডাল কাটেন জয়ন্ত চন্দ্র দাস নামের এক ছেলে।

এই সময় ফরহাদ হোসেন সম্্রাট দেখতে পেয়ে ওই ছেলেকে তার দোকানে ডেকে নিয়ে হাত বেঁধে অমানবিক ভাবে নির্যাতন করেন। জয়ন্ত চন্দ্র দাসের দাদা শুনতে পেয়ে ছুটে আসেন নাতির কাছে জিজ্ঞাসা করিলে তাকেও পা দিয়ে লাথি মারেন। জয়ন্ত চন্দ্র দাস ও তার দাদাকে মারডাং এবং পুলিশকে থাপ্পর মারার ঘটনাটি জানাজানি হলে ক্ষেপে যায় স্থানীয় এলাবাসী। একপর্যায়ে স¤্রাটের বাড়ি ও দোকান ঘেরাও করে আমজনতা। পরে ফরহাদ হোসেন স¤্রাটকে আটক করে নিয়ে যায় কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ।

জরুরী ডিউটিতে থাকা উপ পরিদর্শক রবিউল ইসলাম জানান, আমরা ঘটনাস্থলে গেলে ওই বিডিআর সদস্য আমাদের উপর চড়াও হন এবং এক পুলিশ সদস্য ভিডিও ধারন করতে গেলে ওনাকে থাপ্পর মারেন।

কিশোরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, তার বিরুদ্ধে ২টি মামলা হয়েছে। শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে একটি নির্যাতনের মামলা ও পুলিশের গায়ে হাত উঠার অপরাধে অপর একটি মামলা হয়েছে। এবং আটককৃত ফরহাদ হোসেন স¤্রাটকে নীলফামারী জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে