বিডি নীয়ালা নিউজ( ২রা আগস্ট ২০১৬ইং)-ডেস্ক রিপোর্টঃ আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালানোয় রাজধানীর উত্তরায় দুটি হোটেল বন্ধ করে দিয়েছে রাজউক, যার একটির মালিক রাজউকেরই সাবেক এক কর্মকর্তা।
গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান জোর করেছে রাজউক।
তার ধারাবাহিকতায় সোমবার উত্তরায় অভিযান চালায় সং স্থার ভ্রাম্যমাণ আদালত, যার নেতৃত্বে ছিলেন নির্বাহী হাকিম খন্দকার জাকির হোসেন।
অভিযানে তিনি কমফোর্ট ইন এবং নগর ভ্যালি এই দুটি হোটেল বন্ধ করে গ্যাস-বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দেন।
উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের শায়েস্তা খান এভিনিউর ২৭ নম্বর বাড়ির নগর ভ্যালি হোটেলের মালিক রাজউকের সাবেক নগর পরিকল্পনাবিদ কাজী গোলাম হাফিজ।
চার নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর সড়কের ৫০ বাড়ির কমফোর্ট ইন-এর মালিক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর চাচাত ভাই আবুল হাসনাত বাসু বলে জানিয়েছেন হোটেলের ব্যবস্থাপক রাতুল চৌধুরী সুমন।
কমফোর্ট ইন হোটেলের ভবন থেকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম সরিয়ে নিতে একদিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাউজকের হাকিম জাকির হোসেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আবাসিক এলাকার এ ভবনের বাণিজ্যিক ব্যবহারের কোনো অনুমোদন নেই। হোটেল কর্তৃপক্ষ এ সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্রও দেখাতে পারেননি। তাই এ হোটেলের গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছি।”
হোটেল কর্তৃপক্ষ নিজেরাই স্থাপনা সরানোর অঙ্গীকারনামা দেওয়ায় তাদের এক দিন সময় দেওয়া হয়েছে বলে জানান হাকিম।
বেলা আড়াইটার দিকে কমফোর্ট ইন-এ অভিযান চালায় রাজউক। ৮ তলার এ বাড়ির নিচতলার গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় হোটেলর লবি এবং অভ্যর্থনা কক্ষ করা হয়েছিল। প্রথম তলায় রেস্তোরাঁ এবং সু্ইমিংপুল বানানো হয়েছে।
দোতলা থেকে অষ্টম তলা পর্যন্ত হোটেলের ৩০টি কক্ষ রয়েছে। অভিযানের সময় ২২টি কক্ষে অতিথি ছিল।
কমফোর্ট ইন-এর আগে শায়েস্তা খান এভিনিউর নগর ভ্যালি হোটেলে অভিযান চালায় রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৬ তলা ওই ভবনের নিচতলায় পার্কিংয়ের জায়গায় হোটেলের কার্যালয় এবং অভ্যর্থনা কক্ষ ছিল।
চতুর্থ তলায় বাড়ির মালিক পরিবার নিয়ে থাকেন। অন্য তলায় হোটেলের কার্যক্রম চলছিল। ১৬টি কক্ষে বিমানের ট্রানজিট যাত্রীরা থাকেন। অভিযান চলার সময় ৬টি কক্ষে অতিথিরা ছিলেন। তাদের অন্য হোটেলে সরিয়ে নেওয়া হয়।
বাড়ির মালিক রাজউকের সাবেক কর্মকর্তা গোলাম হাফিজ বলেন, “আমার ভবনের বাণিজ্যিক ব্যবহারের অনুমোদন নেওয়া আছে। তবে হোটেলের ব্যাপারে একটু ‘কনফিউশন’ আছে। আমি বিষয়টি নিয়ে রাজউকের সঙ্গে কথা বলব।”
রাজউকের নির্বাহী হাকিম জাকির বলেন, “বাণিজ্যিক অনুমতি থাকলেও সেখানে হোটেল করার অনুমতি ছিল না। এজন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।”