জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: হাতুড়ে চিকিৎসক, কবিরাজ ও হেকিমদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নীলফামারীর সৈয়দপুরে গত বুধবার তদারকি অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় অপচিকিৎসার অভিযোগে একই পরিবারের তিনজনসহ দুটি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর আগে একটি বিরিয়ানি হাউজকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম। এ সময় তাঁর সাথে ছিলেন একই অধিদপ্তর ও কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দীন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নীলফামারী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শামসুল আলম, সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক আলতাফ হোসেনসহ সৈয়দপুর থানা পুলিশ।
রংপুর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সৈয়দপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসার মাধ্যমে রোগীদের সাথে প্রতারণা এবং ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই নিম্নমানের ওষুধ মজুদ ও বিক্রি করা হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের পুরাতন বাবুপাড়ায় একটি বাসায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে শুভ নামে একটি ফার্মেসীতে মো: রফিকুল ইসলাম তার ছেলে মাসুম বিল্লাহ ও ছেলের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন গ্যারান্টি দিয়ে মলদারে অপচিকিৎসার মাধ্যমে রোগীদের সাথে প্রতারণা করছিল। এছাড়া ওই ফার্মেসীতে ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই নিম্নমানের ওষুধ মজুদ করে তা বিক্রি করছিল। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এ ধারায় তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া শহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় নিরাময় হারবাল অনুমোদন ছাড়াই চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ বিক্রির অপরাধে ভোক্তা অধিকারের একই ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগে শহরের শেরে বাংলা সড়কস্থ নান্না বিরিয়ানি হাউজে নোংরা, অস্বাস্থ্যকর ও বাসী খাবার বিক্রির অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আজহারুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসার নামে রোগীদের সাথে প্রতারণা ও ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই ওষুধ বিক্রি করায় দুই চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান ও যথাযথ নিয়ম না মানায় একটি বিরিয়ানি হাউজের মালিককের উল্লেখিত পরিমান জরিমানা করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে বলেও জানান তিনি।