সিরাজগঞ্জ থেকে,মারুফ সরকার: জেলার তাড়াশ উপজেলার তালম এবং বারুহাস ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ভদ্রবতী নদীর ২৫টি স্থানে বেশ কিছুদিন ধরে সুঁতিজাল পেতে মাছ নিধন করে আসছিল ওই এলাকার এক শ্রেণির প্রভাবশালী। এতে করে একদিকে যেমন মা মাছ ও পোনা নিধন হচ্ছিল, অন্যদিকে নদীতে পানি প্রবাহের পথে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় নদীর পানি রোপা আমন ধানের জমিতে ঢুকে তলিয়ে যাচ্ছিল।
স্থানীয়রা প্রতিকার চেয়ে উপজেলা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে ভদ্রবতী নদী থেকে ২৫টি সুঁতি জালের একটিও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে উচ্ছেদ করা হয়নি। অবশেষে শনিবার দিনভর এলাকার লোকজনের উদ্যোগে ওইসব অবৈধ সুঁতিজাল উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্বদানকারী তৌহিদুল ইসলাম, মফিদুল ইসলাম, আবদুল হামিদ, রবিউল ইসলাম, আনিছুল হক, মোহাম্মাদ আলী জানান, নদীতে অবৈধ সুঁতিজাল দেওয়ায় মৎস্য সম্পদের সঙ্গে এলাকার হাজার হাজার বিঘা আবাদি জমির ফসল হুমকির মুখে পড়ে।
এ সবের প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসন বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আলমগীর কবির সরেজমিনে নদী এলাকা পরিদর্শন করেন। তবে অদ্যাবদি ভদ্রবতী নদী থেকে ২৫টি সুঁতি জালের একটিও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে উচ্ছেদ করা হয়নি। অবেশেষে বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী শনিবার দিনভর ওইসব অবৈধ সুঁতিজাল উচ্ছেদ করে।উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. হাফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে মোবাইল না ধরায় তা সম্ভব হয়নি।এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ মনসূর উদ্দিন জানান, নিঃসন্দেহে এলাকাবাসী তাদের নিজেদের উদ্যোগে সুঁতিজাল উচ্ছেদ করে একটি প্রশংসনীয় কাজ করেছেন।