গভীর পানির মধ্যে পড়ে নড়াচড়া করতে পারছিল না। এসময় হাতিটি মারা যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তবে পরে দুটি গ্রামের বাসিন্দারা রশি দিয়ে হাতিটিকে টেনে তোলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাতিটি পানিতে প্রায় তলিয়ে যাচ্ছিল। পানি থেকে হাতি উদ্ধারের সময়কার ছবিটি পাঠিয়েছেন সাংবাদিক আজিজুর রহমান চৌধুরী।

স্থানীয় একজন সাংবাদিক আজিজুর রহমান চৌধুরী বিবিসিকে জানান, কামরাবাগ ইউনিয়নের কয়রা গ্রাম ও ঢানাডা গ্রামের কয়েক শো লোক পানিতে নেমে লম্বা রশি নিয়ে হাতির পায়ে শুঁড়ে রশি বেঁধে টেনে তোলে।

এরপর অজ্ঞান হাতিটিকে একটি বড় আমগাছেল সাথে বেঁধে রাখা হয়।

বনবিভাগের কর্মীরা জানিয়েছেন, হাতিটা জীবিত আছে। তবে পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি। কর্মকর্তারা এখন হাতিটির জ্ঞান ফেরার অপেক্ষায়।

ডোবার পানি থেকে হাতিটিকে উদ্ধারে অংশ নেয় গ্রামবাসী।

হাতিটিকে বাঁচিয়ে রাখাই এখন প্রধান লক্ষ্য বলেও তিনি জানান।

বনবিভাগের কর্মকর্তারা জানান, জ্ঞান ফেরার পর হাতিটিকে ট্রাক কিংবা অন্য কোনোভাবে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এর আগে হাতিটি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভারত থেকে একটি প্রতিনিধি দল এসে হাতি উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যায়।

এক মাসেরও বেশি সময় আগে হাতিটি ভারত থেকে নদীতে ভেসে ভেসে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

 

 

bbc

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে