ডেস্ক রিপোর্ট : অধিনায়ক টিম পাইন। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের বিপক্ষে প্রাধান্য বিস্তার করে খেলেন দু’জনে। ফলে স্মিথের পর প্রথম সেশনে আর কোন উইকেট হারায়নি অস্ট্রেলিয়া। ৫ উইকেটে ৩৩৬ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় অসিরা।
দ্বিতীয় সেশনেও নিউজিল্যান্ড বোলারদের হতাশ করেন হেড ও পাইন। ফলে এই সেশনেও অবিচ্ছিন্ন ছিলেন হেড ও পাইন। তাই ৫ উইকেটে ৪৩১ রান নিয়ে চা-বিরতিতে যায় অস্ট্রেলিয়া। এসময় হেড ৯৮ ও পাইন ৭৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।
কিন্তু চা-বিরতির পর সপ্তম বলেই আউট হন পাইন। ওয়াগনারের শিকারের আগে ১৩৮ বলে ৯টি চারে ৭৯ রান করেন পাইন। হেড-পাইন ষষ্ঠ উইকেটে ১৫০ রান যোগ করেন।
এরপর সেঞ্চুরির স্বাদ নিতে সমস্যা হয়নি হেডের। ১৬ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। চলতি বছরের শুরুতে ক্যানবেরাতে শ্রীলংকার বিপক্ষে ১৬১ রান করে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়েছিলেন হেড। তিন অংকে পা দিয়ে নিজের ইনিংসটা বড় করতে পারেননি হেড। তাকেও শিকার করেন ওয়াগনার। ২৩৪ বলে ১২টি চারে ১১৪ রান করেন হেড।
হেডের পর লোয়ার-অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলে ৪৬৭ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ডের ওয়াগনার ৪টি ও সাউদি ৩টি উইকেট নেন।
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষে দিনের শেষভাগে ১৮ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পায় নিউজিল্যান্ড। ৩৯ রানের মধ্যে ২উইকেট হারায় তারা। টম ব্লান্ডেল ১৫ ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ৯ রান করে আউট হন। টম লাথাম ৯ ও রস টেইলর ২ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন। অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স ও জেমস প্যাটিনসন ১টি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
অস্ট্রেলিয়া : ৪৬৭/১০, ১৫৫.১ ওভার (হেড ১১৪, স্মিথ ৮৫, পাইন ৭৯, ওয়াগনার ৪/৮৩)।
নিউজিল্যান্ড : ৪৪/২, ১৮ ওভার (ব্লান্ডেল ১৫, লাথাম ৯*, কামিন্স ১/৮)।
B/S/S/N