গত কয়েকদিনের মতো শনিবারও সারাদেশে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামী তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে বৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ১৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বান্দরবানে। এসময়ে ঢাকায় ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। শনিবার সকাল থেকে ঢাকার আকাশ মেঘলা, তবে দুপুর পর্যন্ত কোনো বৃষ্টি হয়নি।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

শুক্রবার ভারী বর্ষণের সতর্কবাণীতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, চট্টগাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটার বা এরও বেশি) বর্ষণ হতে পারে।

শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।

এসময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী তিন দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে।

শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল সীতাকুণ্ডে। শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল কুতুবদিয়ায়।

অন্যদিকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়- বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্রগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

Jag/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে