আন্তর্জাতিক রিপোর্টঃ ভারতীয় উপমহাদেশ ও পাকিস্তান উভয়েরি এটাই প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট ম্যাচ। এর আগে ক্রিকেটবিশ্ব একটি মাত্রই দিবা-রাত্রির টেস্ট দেখেছে। সেটি ছিল গত বছরের নভেম্বরে অ্যাডিলেড ওভালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। তার প্রায় এক বছর পর দ্বিতীয়টিতে মুখোমুখি হল পাকিস্তান ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
পাকিস্তানের এটি ৪০০তম টেস্ট ম্যাচ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুবাইয়ের এই টেস্টে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মিসবাহ-উল হক। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমান করে দিয়েছেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। তবে দুর্ভাগ্য বলতে হবে সামী আসলামের। রোস্টন চেসের বলে আউট হয়ে শতরান থেকে মাত্র ১০ রানের দুরে থেকেই যে সাজঘরে ফিরে যেতে হয় তাকে। এরপর আসাদ শফিককে সঙ্গী করে দিনের বাকি সময়টুকু পার করে দেন আজহার।
প্রথম দিনের খেলা শেষে সামি আসলামকে হারিয়ে ২৭৯ রান করেছে মিসবাহ-উল-হকের দল। আজহার ১৪৬ ও আসাদ শফিক ৩৩ রানে ব্যাট করছেন। অবিচ্ছিন্ন দ্বিতীয় উইকেটে এরই মধ্যে ৬৪ রানের জুটি গড়েছেন পাকিস্তানের দুই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আজহার ও আসলামের ব্যাটে দারুণ সূচনা পায় পাকিস্তান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দিকবিহীন বোলিং আর দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের দৃঢ়তায় প্রথম দুই সেশনে কোনো উইকেটই হারায়নি পাকিস্তান।
শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই পেসার জেসন হোল্ডার ও শ্যানন গ্যাব্রিয়েল শর্ট বলে করে যাওয়ায় গোলাপী বল খুব একটা সুইংয়ের সুযোগ পায়নি। ফুল লেংথে বল করা মিগুয়েল কামিন্স কিছুটা সুইং পেয়েছেন কিন্তু ব্যাটসম্যানদের খুব একটা পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি।
৬৮তম ওভারে আসলামকে বোল্ড করে পাকিস্তানের ২১৫ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন চেইস। মাত্র ১০ রানের জন্য প্রথম টেস্ট শতক পাওয়া হয়নি আসলামের। তার ২১২ বলের ইনিংসটি গড়া ৯টি চারে। এটি তার তৃতীয় অর্ধশতক।
ফ্লাড লাইটের আলোয় বোলাররা মাঝে মধ্যে দুরূহ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও সত্যিকার অর্থে হুমকি হয়ে উঠতে পারেননি কেউই। আসলামের বিদায়ের পর আর কোনো উইকেট না হারিয়ে দিন কাটিয়ে দেওয়ার দিকেই ছিল পাকিস্তানের মনোযোগ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ৯০ ওভারে ২৭৯/১ (আসলাম ৯০, আজহার ১৪৬*, শফিক ৩৩*; চেইজ ১/৬৩, হোল্ডার ০/৩০, বিশু ০/৪৫)
বি/পি/এন