ডেস্ক রিপোর্টঃ ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার্থে আজ থেকে ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম পরিচালনা করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)।
খিলগাঁও এলাকায় গতকাল একজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে এসে ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘আগামীকাল থেকে ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম পরিচালনা করা হবে। নগরবাসীকে বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হবে। কোনো নাগরিক যদি এ মেডিকেল টিমের সঙ্গে যোগাযোগ না করতে পারেন, তবে চাইলে আমাকে ফোন করতে পারেন, আমি আমার নাগরিকের জন্য চলে আসবো।’
তিনি বলেন, ‘শিগগিরই রাজধানীকে ডেঙ্গুমুক্ত নগর হিসেবে গড়ে তোলা হবে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেক বেশি। এটা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে মশক নিধন শুরু হয়েছে।’
মেয়র বলেন, ‘ডিএসসিসি এলাকায় একজন নাগরিক ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন, তাকে সম্পূর্ণ নিজ দায়িত্ব থেকে দেখতে এসেছি। তার খোঁজখবর নিয়েছি এবং তাকে আশ্বস্ত করেছি, সবাই মিলে একটি বাসযোগ্য নগর গড়ে তুলবো। সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে আমরা মশক নিধন করার চেষ্টা করছি। আশা করি সফল হবো। তবে এ বিষয়ে সব নাগরিকের সহযোগিতা প্রয়োজন, তাদের সচেতনতা জরুরি।’
ডেঙ্গু আক্রান্ত সুমি আক্তারের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০ লাখ টাকা চেয়ে তার স্বামী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিম আল ইসলামের রিটের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, এটা আইনের বিষয়। একজন নাগরিক রিট করেছেন, এটা নেতিবাচক কিছু নয়। আইন বিভাগ এটা দেখছে। যেহেতু আইনের মাধ্যমে এটা মোকাবেলা হবে, এ নিয়ে কিছু বলতে পারবো না। তবে এখানে আসা আমার নিজ উদ্যোগে, আমার নাগরিক কষ্ট পেলে আমি বসে থাকতে পারি না।
রিটকারী আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম বলেন, ‘ক্ষতিপূরণ চাওয়া মানেই ক্ষতিপূরণ পাওয়া নয়। আমি সব নাগরিকের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেছি কোর্টে। তবে মেয়রের আন্তরিকতা দেখে আমরা মুগ্ধ। পরবর্তী বিষয় বিবেচনা করে দেখবো মামলা করবো কি-না।’
এ সময় ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোহাম্মদ শরিফ মাহমুদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক এয়ার কমোডর জাহিদ হাসান, অতিরিক্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক খন্দকার মিল্লাতুল ইসলামসহ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট এলাকার কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
বাসস