স্বপ্নের সেতু, পদ্মাসেতু -মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ
২১ জেলার স্বপ্নপূরণ
হলো এবার দেখো
মনোবল আর দৃঢ়তাই
তোমরা সবাই শেখো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
দিলেন ঘোষণা
কুচক্রিরা কোনভাবেই
কাছে এসো না।
অবশেষে ভালোবেসে
অনুমোদন দিলেন
জমি-জায়গা অধিগ্রহণ
সবই করে নিলেন।
শুরু হলো পদ্মাসেতু
স্বপ্ন অনাবিল
ভিত্তি প্রস্তর দেখে এলো
সব দায়িত্বশীল।
৬ দশমিক ১৫ কিলো
হবে চারলেন
উপর দিয়ে চলবে গাড়ি
নিচে থাকবে ট্রেন।
১ম স্পান ১৭ সালে
করলো স্থাপন
দ্রুত সময়ে হতেই হবে
করলো নিবেশ মন।
আল্লাহ তায়ালার রহমতে
এগিয়ে গেল কাজ
এসব দেখে কিছু মানুষ
মুখে পেলো লাজ!
স্পানগুলো একেক করে
মজবুত করেই হলো
এভাবেই দাঁড়িয়ে গেলো
স্পান সংখ্যা ষোলো।
এভাবেই একচল্লিশে
শেষ হলো স্পান
সেতুর কাজে সবার মাঝে
ছিল বিশেষ ধ্যান।
সেতুমন্ত্রীর আগ্রহ আর
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
ঢের মানুষের চাহিদা
করতে হবে শেষ।
পদ্মার ঢেউ থেমে যাবে
সবার প্রয়োজনে
আস্থা এবং অবিচলে
বিশেষ আয়োজনে।
৩ কোটিরও অধিক মানুষ
উপকৃত হবে
যোগাযোগের জন্য মানুষ
অপেক্ষায় সেই কবে!
আল্লাহ তায়ালার রহমতে
স্বপ্ন হলো সত্য
বিশ্ববাসী তাকিয়ে অবাক
দেখে এসব তথ্য।
হাজার রকম ঝক্কি শেষে
পার হতো যে মাওয়া
এক নিমেষে পার হয়ে যায়
এটাই পরম পাওয়া।
বহুমুখী সড়ক ও রেল
কংক্রিটে নির্মাণ
পদ্মাসেতু দেখার জন্য
করছি যে আহবান।
দুই স্তরে স্টীল দেয়া
বিয়াল্লিশটি পিলার
এসব কাজে ছিলো যারা
বিখ্যাত সব ডিলার।
আন্তর্জাতিক পরামর্শক
ছিল অগণন
যাতে করে সুবিধা পায়
বাংলার জনগণ।
অর্থনীতি সামাজিকতায়
দেশ হবে চাঙ্গা
পার হয়ে যাবে সবাই
ফরিদপুরের ভাঙ্গা।
৩ বছর ২ মাসে
হয়ে গেল সেতু
হবে কি না; বলাবলি
রইলো না আর হেতু।
টোল দিয়ে পার হয়ে যাও
ঋণমুক্ত করো
এভাবেই সবাই মিলে
বাংলাদেশকে গড়ো।
এদেশ আমার এদেশ তোমার
দেশপ্রেমিক হও
উন্নয়নে হও সারথি
সবার সাথে রও।
সেতুর এপাড় সেতুর ওপার
গড়ো কারখানা
দালান কোঠা পর্যটনে
নাইরে কোন মানা।
পদ্মাসেতুর দু’ধারেই
ইলিশ ভাজা খাও
বেগুন ভাজি, ইলিশের ডিম
যখন যেটা পাও।
পদ্মাসেতুর জন্য যাদের
অনেক অবদান
স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখো
করো রে সম্মান।
ভালো কাজের প্রসংশাতে
থেকো অবিচল
বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে
রেখো শক্তি বল।