বিডি নীয়ালা নিউজ(৪জানুয়ারি১৬)- অনলাইন প্রতিবেদনঃ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৬৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ।
বাংলা, বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধীকার অর্জনের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের এদিন জন্ম নেয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। তৎকালীন তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেরণা ও পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত হয় উপ-মহাদেশের বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
দিবসটি পালনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ৫ দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে- আজ সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, সকাল ৮টা ১ মিনিটে কার্জন হলে কেক কাটা এবং সকাল ১০ টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ, মৎস্য ভবন, কাকরাইল ও বিজয় নগর মোড় হয়ে ২৩,বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র্যালী এসে শেষ হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ৫ জানুয়ারি সকাল ১০ টায় কলা ভবনের সম্মুখে বটতলায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, ৬ জানুয়ারি বিকাল ৫টায় টিএসসি’র সড়ক দ্বীপ সংলগ্ন ডাসে দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ।
এছাড়াও ৭ জানুয়ারি সকাল ১১ টায় টিএসসি মিলনায়তনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী বিতরণ ও পাঠচক্র উদ্বোধনএবং ৮ জানুয়ারি বিকাল ৩ টায় টিএসসি’র সড়ক দ্বীপ সংলগ্ন ডাসে ‘ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ’র উপর বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৮ বছরের ইতিহাস – জাতির মুক্তির স্বপ্ন, সাধনা এবং সংগ্রামকে বাস্তবে রূপদানের ইতিহাস। কারণ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিটি গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল সংগ্রামে ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দিয়েছে । ’৫২’র ভাষা আন্দোলনে, ’৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৫৮’র আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ’৬২’র শিক্ষা আন্দোলনে ছাত্রলীগ গৌরব উজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে।
’৬৬’র ৬-দফা নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, মাঠে-ঘাটে ছড়িয়ে পড়ে। ৬-দফাকে বাঙালী জাতির মুক্তির সনদ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে।
এছাড়াও ’৬৮-তে শিক্ষা আন্দোলন এবং ’৬৯-এর গণঅভ্যুথানসহ ’৭০-এর নির্বাচন ও ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগ গৌরবউজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে।