নেই কোনো বিতর্ক কিংবা ব্যর্থতার সিলমোহর! তার জীবনের পরতে পরতে পরিপূর্ণ প্রশংসা-প্রাপ্তি আর ভালোবাসা। তিনি কিংবদন্তি অভিনেতা আবুল হায়াত।বরেণ্য এ অভিনেতার জন্মদিন মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর)। তিনি পা দিলেন ৭৮ বছরে।  

জন্মদিন নিয়ে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই গুণী এ অভিনেতার। আবুল হায়াত বলেন, ‘দেশে বিপাশা নেই, নাতাশা আছে। নাতাশার মেয়েরও জন্মদিন আজ। নিজেরা নিজেরাই ঘরোয়াভাবে জন্মদিনটা উদযাপন করবো। ’

এ অভিনেতা আরও বলেন, ‘সত্যি বলতে কী অনেক দিন বাঁচার স্বপ্ন দেখি। আল্লাহ যেন সুস্থভাবে বাঁচিয়ে রাখেন। সবার দোয়া চাই। এ সময়ে সুস্থ থাকাটাই জরুরি। ’

আবুল হায়াত জানান, গেল ঈদে রুবেল হাসান পরিচালিত ‘নানা বাড়ি’ নাটকে অভিনয় করেছেন। এছাড়া তিনি নির্মাণ করেছিলেন ‘মেঘ ময়ূরীর গল্প’ নামের একটি নাটক। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন একটি নাটকে অভিনয়ের জন্য ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন তিনি।

আবুল হায়াতের জন্ম ১৯৪৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে। বাবার চাকরির সুবাদে বেড়ে উঠেছেন চট্টগ্রামে। দেশের সেরা বিদ্যাপীঠ বুয়েট থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি। ঢাকা ওয়াসার প্রকৌশলী পদে চাকরি জীবন শুরু করলেও এক বছর পর ১৯৬৯ সালে অভিনয়ে নাম লেখান তিনি।

‘ইডিপাস’ নামের নাটক দিয়ে টেলিভিশনের পর্দায় অভিষেক হয় আবুল হায়াতের। এরপর থেকে নিয়মিত অভিনয় করছেন তিনি। পাশাপাশি বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন এ অভিনেতা।  

অভিনয়ের বাইরে নির্মাতা আবুল হায়াতের বেশ সুনাম রয়েছে। এর বাইরে লেখক হিসেবেও সফল তিনি। তার লেখা প্রথম উপন্যাস ‘আপ্লুত মরু’ প্রকাশ হয় ১৯৯১ সালের বই মেলায়। এরপর ‘নির্ঝর সন্নিকট’, ‘এসো নীপ বনে’, ‘অচেনা তারা’, ‘জীবন খাতার ফুট নোট’ ও ‘জিম্মি’ বইগুলো লিখেছেন তিনি।

ব্যক্তিগত জীবনে আবুল হায়াতের দুই মেয়ে বিপাশা হায়াত ও নাতাশা হায়াত। দুজনেই শোবিজের মানুষ। বিপাশার স্বামী তৌকীর আহমেদও একজন নন্দিত অভিনেতা-নির্মাতা। এছাড়া নাশাতার স্বামী শাহেদ শরীফ খানও জনপ্রিয় অভিনেতা।

অভিনয়ের স্বীকৃতি স্বরূপ আবুল হায়াত একুশে পদক ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়াও দেশে-বিদেশে অসংখ্য সম্মাননা রয়েছে তার ঝুলিতে।  

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে