কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় শীতকালীন লাউ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। অন্য বছরের তুলনায় এবারর দাম বেশি পাওয়ায় খুশি এখানকার লাউ চাষিরা। খরচের চেয়ে লাভ বেশি হওয়ায় লাউ চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা।
জানা গেছে, উপজেলার আটটি ইউনিয়নে সমতল ভূমিতেই লাউ চাষ করা হয়েছে।লা্উ চাষের জন্য এই উপজেলার আবহাওয়া বেশ উপযোগী। তা ছাড়া প্রয়োজনীয় কৃষি সামগ্র্রীও এখানে সহজলভ্য। এসব সুযোগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে কৃষকরা লাউ চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।এক সময়ে যে জমিতে শুধু ধান চাষই করা হতো, সেখানে এখন ধান পরবর্তী সময়ে লাউ, মিষ্টি কুমড়া ও অন্যান্য সবজিও চাষ করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে লাউয়ের ক্ষেতে মাচাং তৈরি করে দেয়া হয়েছে। সে সব মাচাংয়ে ঝুলছে শত শত লাউ। উপজেলার সিংসাড়া, দিঘা, পাঁচুপুর ইউনিয়নের গুড়নই, কাসুন্দা, জয়সাড়ায় লাউ চাষ করে ইতোমধ্যে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন। চাষিরা জানান, অন্য সবজির চেয়ে লাউ চাষে লাভ বেশি,খরচ কম।
আহসানগঞ্জ ইউনিয়নের দিঘা গ্রামের কৃষক মিরক্স মিঞা জানান,৪০ শতক জমি বর্গা নিয়ে তিনি লাউ চাষ করেছেন। তাতে খরচ হয়েছে ২৫হাজার টাকা। ইতোমধ্যে তিনি প্রায় ৭৫ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছেন।তিনি আরো অনেক লাউ বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি জানান। একই এলাকার কৃষক আবুল হোসেন জানান আমাদের এলাকায় লাউয়ের জন্য ম্যাচাং তৈরি করা সহজ।এখানে খুব সহজেই হাতের কাছে ডালপালা শলাকা ও খুঁটি পাওয়া যায়। ফলে ম্যাচাং তৈরিতে অতিরিক্ত খরচ হয় না।ক্ষেত পরিচর্যা করাও বেশ সহজ।
দিঘা এলাকায় সকাল ১১টায় দেখা যায়, স্থানীয় ১০-১২ জন চাষি জমি থেকে লাউ তুলে বাজারে নেওয়ার জন্য প্রসাতুত করে রেখেছেন।তারা লাউগুলো ভ্যানে করে বন্দাইখাড়া হাটে নিয়ে যাচ্ছেন।প্রতিটি লাউ ৩০-৪০ টাকা করে পাইকারি বিক্রি করবেন বলে তারা জানান।জানা গেছে, উপজেলার সবচেয়ে বেশি লাউ চাষ করা হয়েছে আহসানগঞ্জ ইউনিয়নে।ওই ইউনিয়নের প্রায় ৪০ ভাগ জমিতে লাউয়ের ম্যাচাং রয়েছে। আশানুরুপ দাম পাওয়ায় কৃষকরাও খুশি।জমি থেকে লাউ তুলে কৃষকরা বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করেন উপজেলার আহসাগঞ্জ হাটে পাইকারি সবজি বিক্রির সবচেয়ে বড়হাট।এখান থেকে পাইকাররা লাউ ক্রয় করে ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়।
আত্রাই উপজেলার কৃষি অফিসার তাপস কুমার রায় জানান, এ উপজেলায় সাধরনত শীতকালেই লাউচাষ করা হয়। তবে এখন গ্রীষ্মকালেও কৃষকরা লাউচাষ করছেন এবং লাভবানও হচ্ছেন।লাউ চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা বেশ উৎসাহ পাচ্ছেন।গ্রীষ্মকালীন লাউ চাষে। এ ব্যাপারে কৃষি অফিস খেকে তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করা হয়।