জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ আন্দোলনের নামে ঘোড়ার ডিমপাড়া আগুন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আগামী জানুয়ারীতে ভোটের মাধ্যমে ফাইনাল খেলা হবে। সেই খেলায় সব অপরাজনীতিকে পরাজিত করে দেশকে সমৃদ্ধির উচ্চ শিখরে পৌঁছানো হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে জনগণকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা উপহার দেয়া হবে।
উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। তিনি নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব মন্তব্য করেন। রবিবার (১৫ জানুয়ারী) সকাল ১১ টা থেকে দুুপুর ২ টা পর্যন্ত শহরের রেলওয়ে অফিসার্স কলোনীর ফাইভ স্টার মাঠে এই পথসভার আয়োজন করা হয়।
রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় গত একমাস যাবত পর্যুদস্ত জনজীবনে স্বস্তির ছোঁয়া দিতে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমে উত্তরাঞ্চলের প্রবেশপথে এই সভায় যোগ দেন। এখানে নীলফামারী জেলা ও সৈয়দপুরের প্রায় ৩ হাজার শীতার্ত অসহায় দুস্থ মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। সেইসাথে অন্যান্য জেলার প্রতিনিধিদের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ তহবিল থেকে ২৪ হাজার শীতবস্ত্র প্রদান করেন।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক (রংপুর বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান এমপি, সম্মানিত অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এমপি।
সভাপতিত্ব করেন, নবনির্বাচিত (রংপুর বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত) সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। সঞ্চালনা করেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।
বক্তব্য রাখেন, রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এমপি, সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী এ্যাড. মোস্তাফিজার রহমান ফিজার, আওয়ামীলীগের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, হোসনে আরা ডালিয়া।
সার্বিক সহযোগীতায় ছিল নীলফামারী জেলা আওয়ামীলীগ। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ রংপুর মহানগর সহ বিভাগের বিভিন্ন জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারীর নারী এমপি রাবেয়া আলিম, সংসদ সদস্য আহসানুল হক চৌধুরী ডিউকসহ নীলফামারী জেলা সভাপতি ও পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মমতাজুল হক, সৈয়দপুর উপজেলা সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন, সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক, পৌর সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।
সাধারণ সসম্পাদক ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, খেলা হবে সকল দূর্নীতি, অর্থপাচার, ভূয়া ভোটার তালিকা, অপশাসনের বিরুদ্ধে। খেলা হবে দেশ বিরোধী চক্র, পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের ষড়যন্ত্র ও জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার বিরুদ্ধে। এই খেলার জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রাজনীতি মানুষের জন্য। মানুষের ভালবাসাই হলো আমার রাজনীতি, আমার জীবন।
যে ব্যক্তি রাজনীতি করে অথচ জনগণের বিপদে পাশে দাঁড়ায়না, সহযোগীতার হাত বাড়ায়না। তারা কখনই প্রকৃত রাজনীতিক নয়। বঙ্গবন্ধুর সৈনিক বা আওয়ামীলীগের কর্মীও নয়। বঙ্গবন্ধুর মতই জননেত্রী শেখ হাসিনা মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত। ক্ষমতায় থাক বা না থাক তিনি সবসময়ই তৃণমূলের মানুষের জন্য কাজ করছেন। তাইতো শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি আমাদেরকে শীতবস্ত্র নিয়ে পাঠিয়েছেন আপনাদের কাছে।
বিএনপি বা অন্য কোন দল এখনও শীতার্তদের কাছে আসেনি। আওয়ামীলীগ ছাড়া কেউই গরীব মানুষের কথা ভাবেনা। ভাববে কি করে তাদেরতো দেশের প্রতি ন্যুনতম ভালোবাসা নেই। আওয়ামীলীগের শিকড় বাংলার মাটি ও মানুষের অন্তরে। ইতোমধ্যে সরকারীভাবে ও দলগতভাবে উত্তরাঞ্চলে ৩০ লাখ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আজ ৯ সাংগঠনিক জেলার জন্য ২৭ হাজার কম্বল দেয়া হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিরোধী দলগুলো কথায় কথায় সরকারের পতন ঘটানোর ফাকা আওয়াজ দেয়। তাদের সাথে মানুষ নাই। তাই কখনও ২৪ দল আবার কখনও ৫৩ দল নিয়ে মাঠে নামলেও জনগণের সাড়া পায়নি। সে কারণে তাদের হাক ডাকই অসার। ১০ ডিসেম্বর ও ১১ জানুয়ারী অশ্বডিম্ব প্রসব করেছে আগুন সন্ত্রাসী বিএনপি-জামাত। এখন আবার ডান- বাম এক হয়েছে। তাতেও কোন লাভ হবেনা।
আগামী জানুয়ারীতে নির্বাচনে ফাইনাল খেলায় আবারও আমরা সরকার গঠন করবো। কারণ আমরা কথা রাখি। বঙ্গবন্ধুর মত শেখ হাসিনাও তা প্রমাণ করেছেন। আমরা সকল অপপ্রচার, বদনামের জবাব দেই কাজের মাধ্যমে। যা জনগণ দেখছে। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশবাসী উন্নয়ন পায়। অন্যরা শুধু লুটেপুটে খায়। সেকারণে জনগণ বার বার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ চায়। তিনি দেশকে সর্বোচ্চটুকু দিতে চান। সেটা পেতে সরকারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। এজন্য নৌকাতেই ভোট দিতে হবে। দেশ ও মানুষকে বাঁচাতে শেখ হাসিনার বিকল্প নাই।