Untitled-2

বিডি নীয়ালা নিউজ(১জানুয়ারি১৬)- অনলাইন প্রতিবেদন: সারাদেশের ২৩৪টি পৌরসভায় সফলভাবে নির্বাচনের পর এবার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ছক কষছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সরকারী আইনে সংশোধনী আনায় এ নির্বাচনটিও দলীয়ভাবে সম্পন্ন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থাটি।

ইসির উপ-সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে, বিগত দু’বছরে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে এবারের পৌরসভা নির্বাচন সবচেয়ে বেশি অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। সার্বিক বিবেচনায় ‘সফল’ এ পৌর নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর এবার তারা ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা জানান, আগামী বছর সারাদেশের প্রায় সাড়ে হাজার ইউপি নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। এরমধ্যে মার্চে অনুষ্ঠিত হবে ২১ উপজেলার দুই শতাধিক ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। সে প্রস্তুতিই এখন নেওয়া হচ্ছে।

কর্মকর্তারা বলছেন,২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে প্রথম দফায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।

সর্বশেষ ইউপি নির্বাচন হয়েছিলো ২০১১ সালে। সে বছর ২৯ মার্চ শুরু হয়ে কয়েক দফায় অনুষ্ঠিত নির্বাচন শেষ হয়েছিল ৫ জুলাই।

এ বিষয়ে ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সাড়ে চার হাজার ইউপির তালিকা পাঠিয়েছে। এসবের মধ্যে যেগুলোর মেয়াদ যখন শেষ হবে, সেগুলোর নির্বাচন সে অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচনে ২০১৫ সালের নতুন ভোটাররাও ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন বলে জানাচ্ছেন কর্মকর্তারা।

ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, ইউপি নির্বাচনের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে এবারের পৌর নির্বাচন তাদের উৎসাহ জায়গা। কারণ, অতীত ঘাঁটলে দেখা যাচ্ছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন ও তারপর আয়োজিত চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়েও বর্জন করেছেন। দশম সংসদ নির্বাচন ও চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতাও হয়েছে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি। সেসব বিবেচনায় এবারের পৌরসভা নির্বাচন, দীর্ঘ সাত বছর পর ‘সত্যিকারের’ প্রথাগত নির্বাচনী আমেজ পেয়েছে। এতে দলীয় প্রতীকে ভোট দেওয়ার সুযোগ হওয়ায় ভোটারদের উৎসাহ ছিলো বেশি। দেশব্যাপী উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়েছেন। যেখানে আগের নির্বাচনগুলোতে এতো ভোটারের উপস্থিতি ছিলো না।

ইসির উপ-সচিব পর্যায়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, অন্য নির্বাচনগুলোর তুলনায় এবার সহিংসতাও কম ছিল। এর কারণ ইসির কঠোর অবস্থান। কারণ, এবার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বেশ চাপে রেখেছিল ইসি। এছাড়া, ফোর্স ছিল প্রায় সোয়া লাখ। আবার বিভিন্ন দলের সন্দেহভাজন বিশৃঙ্খলাকারীসহ জঙ্গি সংগঠনের সন্ত্রাসীদের ধরতেও ব্যাপক অভিযান চালানো হয়েছে। আবার প্রথমবারের মতো পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ইসি ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে মন্ত্রী-এমপিরাও চাপে ছিলেন। তারা প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি।

এ সবকিছু মিলিয়েই এবারের পৌরসভা নির্বাচন ‘সফল’ এবং ইউপি নির্বাচন আয়োজনের ‘উৎসাহের জায়গা’ বলে উল্লেখ করছেন কর্মকর্তারা।

– বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে