এমডি বাবুল: বাংলাদেশে ইয়াবা ট্যাবলেট এর ব্যবসা যেন কিছুতেই থামছেনা মরণ নেশার এই ইয়াবার ট্যাবলেট একদিকে পাচার হচ্ছে মোটা অংকের টাকা অন্যদিকে ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ র্যাব-১৫, আভিযানিক দলের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারীর প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানাধীন পালংখালী ইউনিয়নের গয়ালমার এলাকার জনৈক নূর হোসাইনের বসত বাড়িতে কতিপয় ইয়াবা ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট অন্যত্র ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ০৪ জানুয়ারী ২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ০৭.৪৫ ঘটিকায় র্যাব-১৫, সিপিসি-২ হোয়াইক্যং ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। র্যাবের অভিযানিক দল উক্ত এলাকার জনৈক নূর হোসাইনের বসত বাড়ির সামনে উপস্থিত হলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে দুইজন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীদের সাথে থাকা অপর এক সহযোগীর নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে এবং সে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে দ্রুত পালিয়ে যায় বলে স্বীকার করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তির দেহ ও তাদের দেখানো মতে ২নং আজিজুর রহমানের বসত ঘরের দক্ষিন পার্শ্বের শয়ন কক্ষের খাটের নিচে তল্লাশী করে সর্বমোট ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীদ্বয়ের বিস্তারিত পরিচয়: (১) শফিকুল ইসলাম (২৫), পিতা-সুলতান আহম্মদ, সাং-পূর্ব মহেশখালীয়াপাড়া, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার।
(২) আজিজুর রহমান (২১), পিতা-নুর হোসাইন, সাং-গয়ালমারা, ইউপি-পালংখালী, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার।
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে টেকনাফ সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ইয়াবা ট্যাবলেট অভিনব পন্থায় বিভিন্ন জায়গায় সংগ্রহ করে এবং স্থানীয় এলাকাসহ টেকনাফ ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে মাদকদ্রব্য ইয়াবা অধিক মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে বিক্রয় করে থাকে। অদ্য উপরোল্লিখিত ইয়াবাসহ র্যাবের আভিযানিক দলের কাছে ধৃত হয়।
উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃত ও পলাতক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।