এম ডি বাবুল: সম্প্রতি পর্যটন নগরী কক্সবাজার শহর’সহ জেলার অন্যান্য উপজেলায় প্রায় প্রতিনিয়তই ডাকাতি, অপহরণ, মাদক পাচার, ছিনতাই ও ধর্ষণের মত অপরাধ সমূহ সংঘঠিত হওয়ার প্রেক্ষিতে জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য র্যাব-১৫ এর গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি ও অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় একটি ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ কক্সবাজার সদরের পৌরসভাস্থ কস্তুরীঘাট নতুন ব্রীজ এলাকায় অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ২০ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ রাতে র্যাব-১৫ এর একটি আভিধানিক দল উক্ত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। র্যাবের অভিযানের বিষয়টি বুঝতে পেরে ডাকাত দলের সদস্যরা দিক-বিদিক দৌড়ে পালিয়ে যেতে থাকে। এ সময় পলায়নরত ডাকাতদের মধ্যে ধাওয়া করে জলদুস্য সর্দার আব্দুল খালেক’সহ ছয়জন ডাকাত’কে গ্রেফতার এবং উদ্ধার করা হয় ০৩টি দেশীয় তৈরী এলজি, ০৬ রাউন্ড কার্তুজ, ০১টি একনলা বন্দুক, ০২টি কিরিচ, ০১টি রামদা, ০২টি টর্চলাইট, নগদ ১৮,৩০০/- টাকা এবং ০৮টি মোবাইল ফোন।
গ্রেফতারকৃত ডাকাত চক্রটির বিস্তারিত পরিচয়ঃ
(১) মোঃ আব্দুল খালেক (২৯), পিতা-মৃত লোকমান হাকিম, সাং-দক্ষিণ মুহুরী পড়া, সদর, কক্সবাজার।
(২) মোঃ সাইফুল ইসলাম @ সাদ্দাম (২৫), পিতা-মোঃ হোসাইন @ সৈয়দ হোসাইন, সাং-উত্তর নুনিয়ারছড়া, ০২নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা, এ/পি- সাং-দক্ষিণ মুহুরী পাড়া, বিসিক, সদর, কক্সবাজার।
(৩) মোঃ আরিফুল ইসলাম (২৬), পিতা-মৃত শাহজাহান, সাং-বড় বাজার, পেশকার পাড়া, সদর, কক্সবাজার।
(৪) মোঃ খাইরুল আমিন (৩০), পিতা-আবুল বাছের, সাং-দক্ষিণ মুহুরী পাড়া, সদর, কক্সবাজার।
(৫) মোঃ রায়হান (২৫), পিতা-খুইল্যা মিয়া, সাং- দক্ষিণ ঘোনার পাড়া, ০৯নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা, এ/পি- সাং-দক্ষিণ মুহুরী পাড়া, সদর, কক্সবাজার।
(৬) আব্দুল্লাহ আল নোমান (২৬), পিতা-মৃত আব্দুর রশিদ, সাং-দেবেঙ্গা পাড়া, মহেশখালী, কক্সবাজার।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা র্দীঘদিন ধরে অপরাধমূলক নানাবিধ কর্মকান্ডের সহিত জড়িত রয়েছে মর্মে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত ডাকাত চক্রটি কস্তুরীঘাট নতুন ব্রীজের এলাকায় সমবেত হয়ে পরস্পর জ্ঞাতসারে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ সজ্জিত হয়ে ডাকাতির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছিল। আরো জানা যায় যে, ডাকাত দলটি ইতিপূর্বে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করে পর্যটক ও স্থানীয় জনসাধারণকে অস্ত্র-শস্ত্রের ভয়-প্রীতি প্রদর্শন করতঃ ডাকাতি’র পাশাপাশি চুরি, ছিনতাই এবং অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়’সহ বিভিন্ন অপরাধ কার্যক্রম পরিচালনা করতো। রেকর্ডপত্র যাচাইয়ান্তে ধৃত ডাকাত দলের আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে ০৯টি, সাইফুল ইসলাম @ সাদ্দামের ০৫টি, আরিফুল ইসলামের ০৩টি এবং খাইরুল আমিনের ০৩টি মামলা সংক্রান্তে তথ্য পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।