শেষ উপাধি লাশ

…..…… আজহারুল ইসলাম আল আজাদ

শৈশবে মায়ের কোলে ছিলাম যখন শিশু
ধিরে ধিরে ধরার রুপ বুঝছি কিছু কিছু।

কোন একদিন মোল্লা ডেকে করল আকিকা
মোল্লারাসব নাম দিল কোরআন ঘাটিয়া।

সেদিন থেকে সেই নামে ডাকে প্রিয়জন
সেই নামে সারা দেয় অবুঝ শিশুর মন।

ছয় বছরে মায়ে যখন দিল বিদ্যানিকেতনে
ছাত্র হিসেবে পরিচিতি হল সবার সনে।

লেখাপড়া শেষ করে যখন ছাত্রত্ব হল শেষ
রুপ যৌবনে বড় হয়ে সৃষ্টি হল নতুন বেশ।

বাবামায়ে বলছে বাবা একটা কিছু কর
সংসারি হতে হবে সংসারের হাল ধর।

এখন নাকি এই ধরার নইতো কোন ছাত্র
বিয়ে নামের বোঝা কাঁধে এখন নাকি পাত্র।

বিয়ে করতে গেলে কনের ঘরে পাত্র হল বর
বর কনের বাবা বিয়াই হল তারা উভয়ে শশুর।

আত্বীয়ের বন্ধনে মিশে করতে হয় সংসার
এই ধরাতে সবাই সবার কে আপন কেবা পর।

চাহিত চাহিদায় ডাক্তার মাস্টার কেরানী অফিসার
হালুয়া জালুয়া মেথর মুচি ভ্যানচালক আর ড্রাইভার।

বিবিধ পেশায় বিবিধ নামে সমাজে হয় পরিচিত
ধর্ম বর্ন গোত্র ভেদে নামের ছদ্য নাম আছে শতশত।

শতশত নাম হাজারো পেশা দেহের মালিক একজন
দেহের যন্ত্র খারাপে রোগী করি ডাক্তারের
অন্বেষণ।

এভাবে কেটে যায় জীবন চলে যায় বছর দিন মাস
যত নাম যশ আর খেতাব অর্জন হল দম ফুরালে লাশ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে