…………………আজিজ ইবনে গণ
বধির হবো অন্ধ হবো
পৃথিবীর সব পাথর
যত কঠিন বস্থ জড়ো করে
ইচ্ছে হয়
ঢেলে দেই কণ গহবরে
এ ধরার কোন সুর
কোন শব্দ যেন
না প্রবেশ করতে পারে
কণের অন্দরে
এই চোখও
দেই অন্ধ করে যে ভাবে হোক
যাতে দেখতে না পারে
এ ধরার আর কোন সুন্দর…
আমি শুধু
তোমার সুললিত কণ্ঠ-সুর
শুনতে চাই
দেখতে চাই শুধু তোমাকে
এ নয়ন মেলে….
যদি না শুনি সুর
যদি না দেখি তোমায়
আমি বধির হবো,
অন্ধ হবো….
কি রেখেছো বরাতে
কি রেখেছো বরাতে আমার
নেই ত জানা কিছুই তার
পাই যেন আল্লাহ তোমার দয়ার
একটু পরশ,
মন করে দাও সরস।
আমি আল্লাহ বড় গোণাহগার
মাফ করে দাও গোণাহ আমার
সদাই তোমার নামটা লওয়ার
শক্তি দাও
আমায় তোমার করে নাও।
আমার যত নেক আশা
মনে আছে করে বাসা
করো না আজ মোটে নিরাশা
পুরাও তুমি,
হে আমার অন্তযামী।
আমার জনম গেল
আমার জনম গেল জল ঢালিয়া
মরা গাছের মূলে।
যার লাগিয়া পাগল আমি
সে রয় মোরে ভুলে।
মুখে দেখায় বন্ধু মায়া
যেন আমি তারই ছায়া
ভেতর-বাহির ভিন্ন বন্ধুর
ধরে না মোর গলে ।।
বন্ধুয়া নেয় ডেকে বাড়ি
আবদার কত দে যে ছাড়ি
ভাবি আশা মিটবে আজি
পাইবো নিরলে ।।
আমার মনের যত আশা
মিটে না রে রয় পিপাসা
আজিজ গণির থাকতো না দুখ
যদি হাত রাখিতো চুলে ।।
বিদেশে না যাইও বন্ধু রে
বিদেশে না যাইও বন্ধু রে
আমায় করিয়া একেলা।
তোমায় ছাড়া কেমনে ঘুমাই
রাইতেরও বেলা ।। বন্ধু রে…
মাত্র হইলো দু’মাস বিয়ার
হিসাব রাখো তুমি কি আর
কয়দিন রইলাম পাশে তোমার
ভীষণও জ্বালা ।। বন্ধু রে…
যেদিন তোমার হইছে ভিসা
সেদিন থেকে হারাই দিশা
কার বুকেতে মাথা রাইখ্যা
খেলি প্রেমও খেলা ।। বন্ধু রে….
মনে আমার ননদের ভয়
কখন জানি কি যেন হয়
আজিজ গণি কি করবে রে
টাকা দিয়া মেলা ।। বন্ধু রে….