১ ০ ০ লাইনের ছড়া আযান
……………………মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ
মসজিদেরই মিনার থেকে
আযান শুনি রোজ
ঘুম ভাঙিয়ে দেয় জাগিয়ে
রাখি না তার খোঁজ।
মুয়াজ্জিনের ঘুম ভাঙায় কে
কেমনে ওঠে সে
মধুর সুরে আযান শোনায়
কে হে বলো কে?
কিয়ামতের কঠিন দিনে
অশেষ নেকী পাবে
নাজাত পেতে উছিলা হবে
বিশেষ সাওয়াব লাভে।
আল্লাহু আকবর ধ্বনি
শোনায় মুয়াজ্জিন
আযান শুনে মসজিদে যায়
বিশ্ব মানব জ্বিন।
মন ভরিয়া আযান শুনি
৫ ওয়াক্ত আমি
কি যে সুধা পাই হৃদয়ে
জানেন অন্তর্যামী।
সুরের তানে মসজিদেতে
যায় রে মুসলমান
নিঁদ ভাঙিয়া সালাত সালাত
করো রে আহবান।
নবীর মসজিদ মদিনাতে
বেলাল দিতো আযান
আগে ছিল ওয়াক্ত হলে
জোড়ে ঘন্টা বাজান।
ঘন্টা ধ্বনি শুনে শুনে
মসজিদেতে যেতো
মুসুল্লিরা ওসব শুনে
সুখ নাহি পেতো।
অবশেষে হযরত ওমর
স্বপ্ন দেখেন রাতে
আযান ধ্বনির কালাম নিয়ে
ছোটেন প্রভাতে।
মহানবীর সম্মুখ পানে
শোনান আযান ধ্বনি
কথাগুলো শুনে নবীর
হাসে চোখের মণি।
মহানবী বলে ওঠেন
ও হে ওমর শোনো
এখন থেকে আযান এটা
নাই সংশয় কোনো।
নবীর নির্দেশ পালন করতে
বলেন বেলাল ভাই
চলো চলো নববীতে
এখন চলো যাই।
উচ্চস্বরে মিনারেতে
আযান দিতে হবে
হযরত বেলাল প্রশ্ন করে
দিতে হবে কবে?
আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর
আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লালাহ
আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ
হাইয়্যা আলাছ ছলা
হাইয়্যা আলাল ফালাহ
আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর
লা ইলাহা ইল্লালাহ “
আযান ধ্বনি শুনলো যখন
মদিনার লোকজন
ভালোবাসায় সিক্ত হলো
নিত্য আবেশ মন।
হযরত বেলাল হাবশি ছিলেন
গায়ের রঙ কালো
সুর শুনে মদিনাবাসীর
লাগতো ভীষণ ভালো।
প্রহর গুণে অপেক্ষাতে
থাকতো মুসলমান
হযরত বেলাল আযান দিয়ে
করতো আহবান।
মহাকবি কায়কোবাদ
লিখলেন, কবিতা
” কে অই শোনালো মোরে
আযানের ধ্বনি
মর্মে মর্মে সেই সুর
বাজিল কী সুমধুর।
কী মধুর আযানের ধ্বনি – – –
আমি তো পাগল হয়ে
সে মধুর তানে
ছুটে যাই মুগ্ধ মনে
কী যে এক আকর্ষণে – – –
মহাকবি কায়কোবাদের শ্রেষ্ঠ কবিতা
ভালোলাগায় সিক্ত হলো যা লিখলেন তা ‘।
৫ ওয়াক্ত আযান ধ্বনি
শোনায় মুয়াজ্জিন
ইরাক, ইরান,আমেরিকা বলো
লন্ডন কিংবা চীন।
সারা বিশ্বে একই ধ্বনি
শুনি নিশিদিন
বেজে ওঠে এ সুর শুনে
হৃদয়ে সুখের বীণ।
চলো সবাই মসজিদে যাই
যেমন যেতেন নবী
বক্ষে রেখো আল্লাহর নাম
এবং কাবার ছবি।
রচনাঃ
চলন্ত বিমানে
চেন্নাই টু ঢাকা
২৬/৬/২০২২