…………………………মাহফুজার রহমান মণ্ডল
বাঙলিরা কি না পারে ! জয় করেছে হিমালয় পর্বত মুক্ত করেছে আকাশ পথ ছিনিয়ে এনেছে সমুদ্র সীমা। আজ নদী-নালা, আকাশ-বাতাস, পাহাড়-পর্বত সব জায়গায় শুধু জয়ের ধ্বনি। ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত বাংলাকে দেবে রেখেছিলো সেই পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী। বাঘকে বেঁধে রাখা যায় না, হয়তো মনে ছিল না ওদের তাই রপাদপা নিয়ে ছিলো ওদের কাহিনী। হানা দিতে চিয়েছিলো মাতৃভাষার উপর তা কি আর সম্ভব ? বাঙালী জাতি এমন একজাতি ঐক্যের জয়গান ছিল তাদের ভরসা তাই ১৯৫২ সালের ২১সে ফেব্রূয়ারিতে মাতৃভাষার দাবি মেনে নিতে বাধ্য সেই ঘাতকের দল। পরিশেষে বাংলাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে কুন্ঠাবোধ করেনি কতৃপক্ষ। সেই অস্ত্ৰ ধরা শুরু ধীরে ধীরে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার মাধ্যমে বীর বাঙালীর প্রচেষ্টায় আজ এই সোনার বাংলা মুক্ত।
দেশ যখন উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে এদেশের মানুষ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে; বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয় ক্লিক করলে এপ্রান্তের ওপ্রান্তের খবর নিমিশে জানতে পারছে; বিশ্বকে কে শ্বাসন করবে, কে নিবে এর দায়িত্ব, অর্থনীতিভাবে কে শক্তিশালী আছে বা পরে কে হবেন বিশ্বনেতা; ঠিক তখনই চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে লাশের পর লাশ ভেসে আসছে জানতেছি গণমাধ্যমে। অন্যান্য দেশের মানুষেরা তখনো ঘুমায় আর ঘুম ভাঙতে ভাঙতে কখন যে চোর দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকেছে তা তাদের জানা নেই। এ এমন এক চোর সাথে সাথে ধরা বা ছোয়া যায় না। ঠিক ১৪ দিনের মধ্যে আপনার শরীরে উদয় হবে রাক্ষসী রূপ নিয়ে। শুরু হয় জ্বর দিয়ে পরে হাসিঁ, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট দিয়ে এই রাক্ষসী রূপ ধরণ করে। আর এই রাক্ষসী রূপের অপর নাম করোনা ভাইরাস যা এপর্যন্ত কয়েক হাজার প্রাণ কেড়ে নিয়ে বিশ্বকে রীতিমতো নাড়া দিয়েছে।
এই করোনা ভাইরাস এশিয়ায় চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে সর্বপ্রথম হানা দেয় পরে অন্যান্য প্রদেশে ছড়িয়ে পরার আশঙ্খা দেখা দিলে হুবেই প্রদেশ টোটাল লকডাউন করে দেয় চীনা সরকার সাথে স্বাস্থ্য সেবা টানা তিন মাসে হুবেই প্রদেশকে পূর্বের অবস্থায় ফিরে নিয়ে আসে এর মাঝখানে ১০ দিনে একটা হাসপাতাল নির্মাণের নজীর রেখেছেন তাঁরা। চীনের সরকারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী গত ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৮১ হাজার ২শ ৮৫ জন; মারা গেছেন ৩ হাজার ২শ ৮৭ জন।
চীনের পর দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানে বিস্তার লাভ করে এই মরণ ব্যাধি কিন্তু তা নয় ইতিমধ্যে বিশ্বের ১৯৬ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কভিড-১৯ যার পূর্ণাঙ্গ নাম করোনা ভাইরাস ডিজিজ-২০১৯। এই কোভিড-১৯ এমনভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যে প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এই ধরণীকে মহামারী ঘোষণা করেছে। এদিকে কোরিয়া ও জাপান চীনের মতো স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে কোভিড-১৯ নিমন্ত্রণে এনেছেন। তবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কোরিয়া ও জাপানে খুবেই কম ছিল।
ইতিমধ্যে মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে ইতালি সাথে স্পেন, ফ্রাঞ্চ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ইরানসহ আরও কয়েকটি রাষ্ট্র। দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও তেমন বাড়ছে তবে সঠিক চিকিৎসায় কিছু সুস্থ্য হয়ে বাসা ফিরেছে। দেশগুলোতে অফিস-আদালত, দোকানপাট, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সবকিছুতে জরুরি অবস্থা, লকডাউন করা হয়েছে কিন্তু কি হয়েছে মৃত্যুকূপ এখনো অব্যাহত রয়েছে। সারাদিন স্প্রে করা হচ্ছে রাস্তাঘাট, বাড়ি-ঘর, অফিস-আদালত, যানবহন ও হাসপাতালসহ সব সন্দেহজনক জায়গায়। লাভ হচ্ছে ঠিকই কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। কি যে হবে একমাত্রই আল্লাহই জানেন।
একটু লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারবেন উপরে যে দেশগুলোর কথা বর্ণনা করলাম এরা কে বা কিরকম দেশ। নিশ্চই ধরতে পেরেছেন এই মহাবিশ্বে প্রথম সারির দেশ আজ তারাই হিমশিম খাচ্ছে। তবে তাদের চেষ্টার ত্রূটি নেই হয়তো একদিন রেহাই পাবে। তাদের নেই কোন অর্থের অভাব, নেই কোন চিকিসৎসার অভাব, হয়তো ছিল একটু সচেতনার অভাব প্রথমে বুঝতে পারেনি যে কতটুকু সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখতে হবে। পরে রেখে লাভ কি ততোক্ষণ এই রাক্ষসী ব্যাধি ঘরে ঢুকে গেছে। পারে নাই তাঁরা উপলব্ধি করতে, পারে নাই তাঁরা গোপন রাখতে, পূর্বের ন্যায় আনন্দ-উল্লাসে মেতে ছিল। কি হলো পরিনাম কি হচ্ছে আর কি হবে।
বিশ্বব্যাপি করোনায় আক্রান্ত ৫ লাখেরও বেশি, মৃত্যুর সংখ্যা ২৭ হাজার ছাড়ালো। বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে আক্রান্তের ও মৃত্যুর সংখ্যা কোথায় দাঁড়াবে আল্লাহই ভালো জানেন। গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবারের মতো করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর থেকেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। কিন্তু এখন চীনের চেয়েও বেশি প্রাণহানি ঘটেছে ইতালিতে। এখন গণমাধ্যমে এসেছে ইতালিকেও হার মেনে যুক্তরাষ্ট্র এখন সবার শীর্ষে। এরপর কোন রাষ্ট্র আসবে তা অপেক্ষার পালা।
আমরা বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি করোনা মোকাবেলার নানান কৈশল। এই কৈশলের সাথে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা সম্পর্কে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন যা অবশ্যই আমাদের মেনে চলতে হবে। জানিনা কয়জন এই নির্দেশনাগুলো মেনে চলবে কারণ দিন যত যাচ্ছে সময় ফুরিয়ে আসছে সচেতনার অভাব রয়েই যাচ্ছে। ৪ঠা এপ্রিল পর্যন্ত অফিস বন্ধ থাকবে কিন্তু এই সময় যে বাড়বে না তা কি করে বুঝবো। যাইহোক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাগুলো ভালো করে মানলে আমরা অবশ্যই উপকৃত হবো আশাকরি। নিম্নে নির্দেশনাগুলো লিপিবদ্ধ করা হলো:
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পরা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশবাসীর প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০ নির্দেশনাঃ
১. আগামী ২৬ মার্চ যে সরকারি ছুটি তার সাথে মিলিয়ে ২৭, ২৮ দুদিন যে সাপ্তাহিক ছুটি আছে এর সাথে সরকার ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত ২০২০ সালের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। তার সঙ্গে ৩ ও ৪ এপ্রিলের সাপ্তাহিক ছুটিও এই বন্ধের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। তবে কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল এবং জরুরি যেসব সেবা আছে তার জন্য এগুলো প্রযোজ্য হবে না। করোনাভাইরাস বিস্তৃতির জন্য সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জনসাধারণকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (খাদ্যদ্রব্য, ওষুধ ক্রয় ও চিকিৎসা গ্রহণ ইত্যাদি) কোনোভাবেই ঘরের বাইরে না আসার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
২. এ সময়ে যদি কোনো অফিস-আদালতে প্রয়োজনীয় কাজকর্ম করতে হয় তাহলে তাদের অনলাইনে সম্পাদন করতে হবে। সরকারি অফিস সময়ের মধ্যে যারা প্রয়োজন মনে করবে তারাই শুধু অফিস খোলা রাখবে।
৩. গণপরিবহন চলাচল সীমিত থাকবে। জনসাধারণকে যথাসম্ভব গণপরিবহন পরিহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যারা জরুরি প্রয়োজনে গণপরিবহন ব্যবহার করবে তাদের অবশ্যই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়া থেকে মুক্ত থাকতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেই গণপরিবহন ব্যবহার করতে হবে। গাড়িচালক ও সহকারীদের অবশ্যই গ্লাভস এবং মাস্ক পরাসহ পর্যাপ্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৪. জনগণের প্রয়োজন বিবেচনায় ছুটিকালীন বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।
৫. ২৪ মার্চ থেকে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে সশস্ত্র বাহিনী জেলা প্রশাসনকে সহায়তায় নিয়োজিত থাকবে। দেশের ৬৪ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাদের স্ব স্ব জেলার প্রয়োজন অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনীর জেলা কমান্ডারকে রিকুইজিশন দেবে।
৬. করোনাভাইরাসের কারণে নিম্নের কোনো ব্যক্তি যদি স্বাভাবিক জীবনযাপনে অক্ষম হয় তাহলে সরকারের যে ঘরে ফেরার কর্মসূচি রয়েছে, সে কর্মসূচির মাধ্যমে তারা নিজ নিজ গ্রামে ফিরে গিয়ে আয় বৃদ্ধির সুযোগ পাবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকরা প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবেন।
৭. ভাসানচরে এক লাখ লোকের আবাসন ও জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এ সময় যদি দরিদ্র কোনো ব্যক্তি ভাসানচরে যেতে চান তাহলে তারা যেতে পারবেন। জেলা প্রশাসকদেরকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
৮. করোনাভাইরাসজনিত কার্যক্রম বাস্তবায়নের কারণে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় অন্নসংস্থানের অসুবিধা নিরসনের জন্য জেলা প্রশাসকদের খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে এ সহায়তা প্রদান করা হবে।
৯. প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৫০০ জন চিকিৎসকের তালিকা তৈরি ও তাদের প্রস্তুত রাখবে। যাতে করে তাদের করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন প্রয়োজনে কাজে লাগানো যায়।
১০. সব ধরনের সামাজিক রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সমাগম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশেষ করে অসুস্থ জ্বর সর্দি কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মসজিদে না যাওয়ার জন্য বারবার নিষেধ করা হয়েছে। তারপরও সম্প্রতি মিরপুরে একজন বৃদ্ধ অসুস্থ অবস্থায় মসজিদে যান। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ওই ব্যক্তি পরে মৃত্যুবরণ করেন। তাই ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের প্রতি অসুস্থ অবস্থায় মসজিদে নামাজ আদায় করতে না যাওয়ার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ-এর ভাষণে বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছিল – প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে। রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেবো। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ্।’ ঠিক সেই রকম ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তুলতে হবে। এটা বাইরে গিয়ে শত্রুর সাথে মোকাবেলা নয়, ঘরে বসে থেকে সামাজিক দুরুত বজায় রেখে ভাইরাস নামক শত্রুর সাথে মোকাবেলা করা।
হতাশার মাঝেও কোভিড-১৯ চিকিৎসায় কিছু আশার আলো নিয়ে এল নতুন পদ্ধতি। কমপক্ষে ২০টি ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে বিশ্বজুড়ে, বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ইয়ান লিপকিন করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় নতুন পদ্ধতির কথা জানিয়েছেন। তাঁর মতে, নতুন ‘ব্লাড-প্লাজমা থেরাপি’ নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্লাজমার মাধ্যমে সম্ভাব্য এ চিকিৎসা পদ্ধতি ইতিমধ্যে চীনে পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রচলিত ওষুধের আগেই এর ব্যবহার শুরু হতে পারে। চীনের সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, চীনের উহানে এ মাসের শুরুর দিকে একটি মোবাইল হাসপাতালে প্লাজমা দিতে দেখা গেছে করোনাভাইরাস থেকে সেরে ওঠা এক ব্যক্তিকে। এ পদ্ধতি ইতিমধ্যে চীনে প্রয়োগ হচ্ছে। এছাড়া ক্যালিফোর্নিয়ার একদল গবেষক একটি জার্নালে এক তথ্য প্রকাশ করেছে যে ৬৯টি প্রচলিত ঔষুধেই ভালো হয় করোনা। করোনা চিকিৎসায় রাশিয়ার ৬ ওষুধ আবিষ্কার করেছে। আমাদের দেশে সন্তান এই ভয়াবহ করোনা আতঙ্কের মধ্যেই সু-খবর দিতে যাচ্ছেন তাঁরা হলেন- ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(ডুয়েট) এর তিন গবেষক। তারা বলছেন, দেশীয় উদ্ভিদ ও প্রযুক্তি ব্যবহারে করোনা নিরাময়ে ওষুধ তৈরি সম্ভব। দ্রুত ফল ও গবেষণাকে কাজে লাগাতে সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার আহবান গবেষক দলের।
আরও আশার আলো জ্বালিয়ে ৭ দিনেই দেশে নির্মিত হচ্ছে করোনা হাসপাতাল এখানে মিলবে ফ্রি চিকিৎসা। দেশের অন্যতম শীর্ষ করপোরেট প্রতিষ্ঠান আকিজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শেখ বশির উদ্দিন। তিনি নিজ উদ্যোগে তেজগাঁওয়ে দুই বিঘা জমিতে উহানের লেইশেনশান হাসপাতালের মতো করে করোনা চিকিৎসার জন্য একটি অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করছেন। শুধু উনি নন, আরও অনেক বিত্তবানরা এগিয়ে আসছেন কেউ চাল-ডাল, কেউ বাসা ভাড়া মওকুফ, কেউ মাস্ক ও পিপিই বিতরণ এবং কেউ সরকার বা সরাসরি জনগণকে টাকা দিয়ে।
সরকার নানান পদক্ষেপ নিয়েছে যা ঢাকাসহ সারাদেশে কিছুদিনের মধ্যে পাওয়া যাবে। সেবার জন্য সরকারি ল্যাব আইইডিসিআর এ যোগাযোগ করবো – 16263 (Hotline)
01401184551, 01401184554, 01401184555, 01401184556, 01401184559, 01401184560, 01401184563, 01401184568, 01927711784, 01927711785, 01937000011, 01937110011
রোগীর শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত করনের কিট তৈরী করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এপ্রিল’২০-এর প্রথমে এই কিট পাওয়া যাবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় সহায়তার অংশ হিসেবে আমাদের জন্য সার্জিক্যাল মাস্ক ও হেড কভার পাঠিয়েছে ভারত। ইতিমধ্যে চীন থেকে এসেছে টেস্টিং কীট, পিপিই ও ইনফ্রারেড থার্মোমিটার।
যাইহোক আমরা সাধারণ জনগণ, কিভাবে একেঅপরকে সাহায্য-সহযোগীতা করতে পারি তার একটা বিহিত করা দরকার। আমরা মনে করি এটার একটাই সমাধান নিজে নিজেকে লকডাউন করা যাতে সামাজিক দুরুত্ব বজায় থাকে। আমরা মুসলিম জাতি হিসাবে আমাদের বিশ্বস করা দরকার – যা অনেক আগে মোহাম্মাদ(সা:) বলেছেন, যখন তুমি কোনো ভূখণ্ডে প্লেগ ছড়িয়ে পড়ার খবর শুনতে পাও তখন সেখানে প্রবেশ করো না। পক্ষান্তরে প্লেগ যদি তোমার অবস্থানস্থল পর্যন্ত পৌঁছে যায় তাহলে ওই জায়গা ত্যাগ কোরো না।’ আমরা যদি পরিবার বা আত্মীয়-স্বজন তথা জাতির কথা ভাবি তাহলে দেশ প্রধান -এর নির্দেশনা ও সঠিক সময়ে ডাক্তারের চিকিৎসা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলবো এবং অপরকে মেনে চলার পরামর্শ দিবো। এতে বাঁচবে আপনার পরিবার বা আত্মীয়-স্বজন তথা আমাদের জাতি। আর এটাই হবে করোনা মোকাবেলার সহজতম পথ।
লেখক – কলামিষ্ট, সম্পাদক ও কবি