বিডি নীয়ালা নিউজ(১৮জানুয়ারি১৬)- ঢাকা প্রতিনিধিঃ সুপ্রিম কোর্টের কার্যতালিকা (কজলিস্ট) পুরোপুরি অনলাইনে প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এই সিদ্ধান্তে ‘অস্বস্তি’র কথা জানিয়েছেন আইনজীবীরা। বিষয়টি বিবেচনার জন্য প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।
‘খরচ বাঁচানো এবং ডিজিটাল কার্যক্রমের অংশ হিসেবে’ কাগজের কার্যতালিকা তুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। গত বছরের ০১ নভেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের কার্যতালিকা (কজলিস্ট) কাগজে ছাপানোর পাশাপাশি একযোগে অনলাইনেও প্রদর্শন করা শুরু হয়। তিনমাস পরীক্ষামূলকভাবে এ পদ্ধতি অনুসরণ করার পর এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কাগজে ছাপা কার্যতালিকা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
পরীক্ষামূলক তিনমাস সময়ও শেষ হচ্ছে চলতি মাসেই। সম্প্রতি এ নিয়ে প্রধান বিচারপতির উপস্থিতিতে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
তিনি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির সমীপে বলতে চাই, খরচ বাঁচানোর জন্য আপনি কাগজের কজলিস্ট তুলে দিতে চাচ্ছেন। এ নিয়ে আমাদের আইনজীবীদের মধ্যে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। আমরা সরকারকে বলবো,বিচার বিভাগকে প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দিতে। তারপরও কাগজে ছাপা কজলিস্ট যেন বন্ধ না হয়’।
মাহবুব উদ্দিন খোকন আরও বলেন, ‘আইনজীবীরা তেমন একটা কজলিস্ট দেখেন না। প্রতিদিনের কজলিস্ট দেখেন আইনজীবীর সহকারীরা। তারা কোন বেঞ্চে কোন মামলা এসেছে তা কজলিস্ট দেখে আইনজীবীদের জানান। আর বেশিরভাগ সহকারীদের কাছে তেমন একটা স্মার্টফোন কিংবা ল্যাপটপ নেই। এজন্য কাগজের কজলিস্টও প্রয়োজন। আপনি বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন বলে আশা করছি’।
এর আগে ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসের শুরুতে কজলিস্টের পুরো কার্যক্রম অনলাইনে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। ওই সময় একটি নির্দেশনাও জারি করা হয়।
নির্দেশনায় সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, ০১ নভেম্বর থেকে উভয় বিভাগের কজলিস্ট অনলাইনে এবং কাগজে ছাপা একত্রে তিনমাস পরীক্ষামূলকভাবে চালু থাকার পর কাগজের কার্যতালিকা সম্পূর্ণরুপে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এর কয়েকদিন আগে লন্ডনে এক বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ০১ নভেম্বর থেকে উচ্চ আদালতের সব কার্যক্রমের তথ্য অনলাইনে পাওয়া যাবে। এতে মামলার শুনানির তারিখ ও এর ফলাফল নিয়ে অতীতের মতো আইনজীবীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে না। পর্যায়ক্রমে পুরো বিচারিক কার্যক্রমকে ডিজিটাল করা হবে। তখন বিশ্বের যেকোনো স্থানে বসে মামলা করা, মামলার তথ্য জানা বা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষ্য প্রদান ও প্রমাণ হাজির করা যাবে।