আন্তর্জাতিক রিপোর্ট : সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সহ প্রতিবেশী দেশগুলো কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর দেশটি এখন নানামুখী কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক চাপের মুখে পড়েছে।কাতারে কাজ করছে প্রায় তিন লাখের মতো বাংলাদেশী। তাদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে কাতার বাংলাদেশি বিশেষ করে শ্রমিকদের ফেরত পাঠাবে কিনা।কাতারের রাজধানী দোহায় থাকেন বাংলাদেশি কর্মী কাজী মোহাম্মদ শামীম।তিনি বলছিলেন বাংলাদেশি শ্রমিক যারা কাজ করেন তাদের মধ্যে পুরোপুরি ভীতি তৈরি হয়ে গেছে আজকে থেকে।এর পাশাপাশি বেশ কিছু গুজব ছড়িয়ে পরেছে।
গুজব টা কী ?
তিনি বলছিলেন বাংলাদেশিরা কাতারে থাকতে পারবেন না চলে যেতে হবে এমন একটা ভীতি কাজ করছে ।সৌদি এবং দুবাই সরকার লোকজন নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছে। তাই বাংলাদেশিদের মধ্যে কানাঘুষা চলছে।হয়তবা বাংলাদেশিদের পাঠিয়ে দেবে কাতার। শ্রমিকরা ভয় পাচ্ছে এত টাকা খরচ করে এসেছে এখন ফেরত পাঠালে পরিবার নিয়ে দেশে বিপদে পরবে সবাই।
খাদ্যের দাম বেড়েছে
এই সংকট শুরু হওয়ার পর সেখানে অনেক মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে বাজার থেকে খাদ্যসামগ্রী কিনতে শুরু করায় জিনিসপত্রের দাম বাড়তে শুরু করেছে।সৌদি আরব এবং দুবাই থেকে পণ্য নিয়ে মূলত কাতার ব্যবসা বাণিজ্য করে।সৌদি বর্ডার দিয়ে খাদ্যে আসতো কাতারে, সেটা বন্ধ হওয়ার পর অনেকেই সুপার স্টোর গুলোতে খাদ্য মজুদ করা শুরু করেছে।খাদ্য সংকট এখনো শুরু না হলেও একটা বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি চলছে।মি. শামীম বলছেন গতকাল সকালে আলু কেজি প্রতি তিনি সাড়ে তিন রিয়াল দিয়ে কিনেছেন কিন্তু বিকেলে সে দাম বেড়ে হয়েছে পাঁচ রিয়াল।
বি/বি/সি/এন