কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী: চলতি মৌসুমে আগাম জাতের (সেভেন) আলু তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কৃষকগণ।
আগাম (সেভেন জাতের)আলুর ফলনে একটু কম হলেও বেশি দামে বিক্রি করে লাভবান হবেন বলে আশা করছেন উপজেলার আলু চাষিরা।
এই উপজেলার সেভেন জাতের আগাম আলু ঢাকা সহ দেশের বিভাগীয় শহর গুলোতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
শনিবার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আগাম সেভেন জাতের আলু জমিতে পাইকাররা প্রতি কেজি ক্রয় করছেন ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে।
আবার একই জমিতে সাইজে একটু ছোট আকারের আলু ৬০ থেকে ৬৫ টাকা মুল্যে ক্রয় করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছেন ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে প্রতি কেজি আলু।
দামে একটু বেশি হলেও স্থানীয় বাজারে নতুন আলু কিনে খাচ্ছেন ভোক্তারা। এ ছাড়াও বাহিরের জেলা ও বিভাগীয় শহর থেকে পাইকাররা কিশোরগঞ্জ উপজেলায় এসে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে নতুন আলু কিনে ট্রাক,পিকআপ এবং ট্রান্সপোর্টের গাড়ী গুলোতে করে নিয়ে যাচ্ছে তাদের গন্তব্যে।
উপজেলার মাগুড়া,চাঁদখান,বাহাগিলি ইউনিয়নের আলু চাষি একরামুল হক, মোশারফ হোসেন, আমিনুর রহমান, আব্দার রহমান, মতিয়ার রহমান জানান আগাম সেভেন জাতের আলু চাষ করে ফলন কম হলেও বেশি মুল্যে বিক্রি করতে পেয়ে অনেকটা লাভ হচ্ছে এবং আগাম আলু তুলে ওই জমিতে অন্য ফসল লাগানো যাচ্ছে। অনেক আলু চাষী জানিয়েছেন আবহাওয়া ভাল থাকায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে অনেক আলু চাষী বেশি মুল্য পাওয়ার আশায় নিজেই ট্রাকে করে ঢাকাসহ, বিভাগীয় শহর রংপুর, কুমিল্লা চট্রগ্রাম, খুলনা, বরিশালে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আলু চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ভাল ফলন হয়েছে। এ বছর উপজেলায় ৬ হাজার ৫ শত ৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।