কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী থেকেঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় বিগত কয়েক বছর ধরে তুলা চাষে কৃষক ফজলুল হকের দিন বদল। সম্প্রসারিত তুলা চাষ প্রকল্প (ফেজ-১) ২য় সংশোধিত এর অর্থায়ন ও তুলা উন্নয়ন বোর্ড রংপুর জোনের বাস্তবায়নে কৃষক পর্যায়ে প্রশিক্ষণ,হাইব্রীড(রুপালী-১) জাতের বীজ, সার সরবরাহসহ আর্থিক সহায়তা দিয়ে কৃষকের।
জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে। তুলা একটি প্রাকৃতিক তন্ত ফসল। সমতল ভূমির এই তুলা স্পিনিং মিলে সূতা তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও সূতা তৈরির আশঁ ছাড়াও তুলার বীজ থেকে পশু খাদ্য খৈল,ফ্যাটমুক্ত তৈল ও ফাজ (ব্যন্ডেজ বাগজ) তৈরি করা হয়। গাছ জ্বালানি হিসাবে ব্যাবহার এবং সবুজ পাতা জমির।
উর্বরতায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আর এ মূল্যাবান ফসলটির চাষ শুরু করেছে
উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইসমাইল দোলা পাড়া গ্রামের কৃষক ফজলুল হক।
সরেজমিনে রবিবার ফজলুল হক বলেন , ২০১৮সালে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর-তারাগঞ্জ কটন ইউনিটের উদবুদ্ধকরণে চার বিঘা জমিতে তুলার চাষ শুরু করি।ওই বছরে তুলা বিক্রি করে ভাল লাভবান হওয়ায় এ ফসল চাষে জড়িয়ে পড়ি। তুলা একটি লাভ জনক ফসল। প্রতি বিঘা তুলা চাষে শুধু শ্রমিক,সেচ বাবদ খরচ হয় দশ থেকে বারো হাজার টাকা। বাজার ভেদে তুলা বিক্রি হয় ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা।
এখানে অন্যান্য ফসলের চেয়ে এতে লাভ বেশি। বিক্রিতে কোন ঝামেলা নেই। তুলা উন্নয়ন বোর্ড নিজ উদ্যোগে তুলা নগদ মূলো ক্রয় করে। বিগত চার বছর ধরে চার/পাঁচ বিঘা জমিতে এর চাষাবাদ করে সংসারের স্বচ্ছলতা এসেছে। এ বছরও পাঁচ বিঘা জমির তুলা বিক্রি করে দুই লাখ আয়ের স্বপ্ন বুনছি। তুলা উন্নয়ন বোর্ডের প্রশিক্ষণ,সহজ শর্তে লোন, সার সরবরাহ, অন্যান্য ফসল চাষে খরচ ও লাভ ব্যাপক পার্থক্য থাকায় এ এলাকার অন্য চাষিরাও তুলা চাষে আগ্রহী
হয়ে উঠেছেন।
এ ব্যাপারে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর-তারাগঞ্জ কটন ইউনিট অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, ওই কৃষক বিগত কয়েক বছর ধরে তুলা উৎপাদনে বিপ্লব ঘটাচ্ছে। এভাবে ক্রমাগত তুলা চাষ হতে থাকলে কিশোরগঞ্জ উপজেলা দেশের তুলা উৎপাদনে মডেল উপজেলায় পরিণত হবে অচিরেই। এতে আগামী দিনে দেশে তুলা উৎপাদনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। অপর দিকে আমদানি নির্ভরতা কমবে এরং দেশের
লাখ লাখ টাকা সাশ্রয় হবে।