মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ বাদামীগাছ ফড়িং পোকা (কারেন্ট পোকা) খেয়ে ফেলেছে কৃষকের কষ্টে ফলানো আমন ধান। ক’দিন আগেও কৃষকরা সোনালী ফসলের বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখতো। তারা এখন মাথায় হাত দিয়েছে।
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে বাদামীগাছ ফড়িং পোকার আক্রমনে সবুজ আমন ক্ষেত হয়েছে খড়। শুরু থেকেই অতিবৃষ্টিতে আমন হয়ে উঠে সবুজ প্রান্তর। লকলকিয়ে উঠে আমন ক্ষেত। মাঠের চেহারা দেখে সোনালী স্বপ্ন বুনছিল কৃষকরা। আচমকা বাদামীগাছ ফড়িং পোকার উপস্থিতি টের পেয়ে বার বার পোকা দমনের ওষুধ ছিটিয়ে কাংখিত ফল পাননি তারা। এই সর্বনাশা পোকায় ছেয়ে যায় চারদিক। যেন পোড়ানো হয়েছে স্বপ্নের ফসল। ফসলের এমন দশা দেখে কৃষকদের আহাজারী করতে দেখা গেছে। কিশোরগঞ্জ সদর ইউপির কামারপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, ‘মোর এক দোন মাটির (এক বিঘা জমি) আমন ক্ষ্যাত হওয়া গেইছে পোয়াল(খড়)। সে পোয়াল(খড়) গরুও খায় না। একই গ্রামের প্রান্তিক চাষী আব্দুল হালিম জানান, চিন্তায় করিবার পাও নাই এতো সকালে ওই পোকা মোর ভুইখান(জমি) শেষ করি দেবে। চাঁদখানা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদখানা গ্রামের নগরবন গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলাম জানান, ‘এবারে মুই ৭ দোন মাটিত আমন নাগাচু। তার মধ্যে ২ দোন মাটি এক্কেবারে পোড়া গেইচে।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, এবারে বাদামীগাছ ফড়িং পোকার (কারেন্ট পোকা) প্রজনন বৃদ্ধির জন্য আবহাওয়া অনুকুলে ছিল। দিনে ভ্যাপসা গরম ও রাতে ঠান্ডার কারণে কারেন্ট পোকার বংশবিস্তার সম্ভব হয়েছিল। তবে ওষুধ ছিটিয়ে এবং বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এসেছে। আর সপ্তাহখানেক পরেই কৃষকরা আমন ধান কাটা শুরু করবে ইনসাআল্লাহ্।