কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় এক মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষক কর্তৃক বলৎকারের স্বীকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধা ৬টায়,মাগুড়া বাজার নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও ইয়াতিমখানায়।
অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষকের বাড়ি রংপুর সদর উপজেলার পালিচড়া কেশবপুর বানিয়া পাড়া গ্রামে বলে জানাগেছে। বলৎকারের স্বীকার মাগুড়া মাস্টার পাড়া গ্রামের ইনছান হোসেনের ছেলে জিসান জানান ওই মাদ্সার মুফতি হুজুর রেদওয়ানুলক হক তাকে গ্লাসে পানি আনতে বলেন,পানি নিয়ে আসলে তাকে বসতে বলেন এক পর্যায়ে তাকে রুমে শোয়ান এবং বলৎকার করেন।জসান আরো জানান শুধু আমাকে নয় আরো ৬জন ছাত্রকে মুফতি হুজুর খারাপ কাম করছেন।
বিষয়টি ভয়ে আমি প্রকাশ করতে পারি নাই। বলৎকারের ঘটনাটি শনিবারে হলেও বাবা- মায়ের কাছে প্রকাশ করেন বুধবার। পরে ভীকটিমের অবিভাবক ইনছান আলী সহ এলাকার কয়েকজন অবিভাবক ন্যাক্কারজনক ঘটনাটির বিচারের দাবীতে মাদ্রাসা কমিটির নিকট তাৎক্ষনিক জানান এবং কমিটির লোকজনের নিকট ওই মুফতি হুজুরকে উপস্থিত করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন।
কমিটির লোকজন কোন সিদ্ধান্ত দিতে না পারলে ভীকটিমের পরিবারের লোকজন ও সাধারন জনগণ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কিশোরগঞ্জ থানায় বিষয়টি জানালে তাৎক্ষনিক এসআই নোমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং ওই মুফতি রেদওয়ানুল হুজুরকে উপস্থিত করার জন্য কমিটির লোকজনকে বলেন। পরে কমিটির লোকজন জানান আমরা ঘটনা শুনার আগে হুজুর পালিয়ে গেছে বলে পুলিশকে জানান।
শুধু এটাই নতুন করে ঘটনা নয় ইতোপূর্বে ওই মাদ্সায় আরো বলৎকারের ঘটনা ঘটেছিল। নাম প্রকাশ্যে অনইচ্ছুক একজন অবিভাবক অভিযোগ করে বলেন মাদরাসাটিতে অহরহ এই ঘটনা ঘটে মাদরাসা কমিটি কর্তৃপক্ষকে বিষয়গুলো অবগত করা হলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি তারা। এ ব্যাপারে অত্র মাদরাসার সভাপতি আলহাজ্ব ডাঃ সাহাবুল হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন অভিযুক্ত মুফতি হুজুরের বিরুদ্ধে আমারা আইনগত ব্যবস্থা নিব। এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পেয়েছেন কিনা কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজিব কুমারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ওদেরকে মামলা দিতে বলছি অভিযোগ দিলে মামলা নিব।